পৃথিবীর সর্বোচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট কানেকশন তৈরি করছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সংস্থা সিসকো। আর এ কাজে সিসকোকে সহায়তা করছে সুইডেনের টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি টেলিয়া। প্রতি সেকেন্ডে ১২০ গিগাবিটস গতির ইন্টারনেট কানেকশন তৈরির ঘোষণা দিয়েছে তারা।
গত ২৪ নভেম্বর সুইডেনের জনকোপিং-এর এলমিয়ায় ডিজিটাল ফেস্টিভ্যাল ‘ড্রিমহ্যাক’ উপলক্ষে আয়োজিত প্রারম্ভিক অনুষ্ঠানে এই গতির লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে সিসটেক ও টেলিয়া। মেলায় অংশ নেয়া বিশ হাজারেরও বেশি মানুষের সাহায্য নিয়ে এই নেটওয়ার্কের ক্ষমতার সদ্ব্যবহার (capacity utilization) করে বিশ্ব রেকর্ডটি ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ইতিপূর্বেই জনকোপিং থেকে স্টকহোম পর্যন্ত ৩০০ কিলোমিটার লম্বা একটি কানেকশন তৈরির কাজ শুরু করেছে সিসকো ও টেলিয়া। এই সংযোগটি সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষকে বিদ্যুৎ-গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা দিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এতখানি দূরত্বে এমন ব্যাপক গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ-এর আগে কোথাও ব্যবহার করা হয়নি উল্লেখ করে সিসকো’র বিপনন ব্যবস্থাপক জন ম্যালগ্রেন বলেন, “পৃথিবীর দ্রুতগামী নেটওয়ার্ক তৈরিতে অংশ নিতে পারাটা খুবই গর্বের। এটা একটা চমৎকার সুযোগও বটে। কেননা এখানে আমরা আমাদের সরঞ্জামগুলো এক্সট্রিম কন্ডিশনে পরীক্ষা করবার সুযোগ পেয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “১২০ গিগাবিট গতিকে বিস্ময়কর বলে মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ইন্টারনেটে ডাটা এবং ভিডিও ট্র্যাফিক দিন দিন যে হারে বেড়েই চলেছে সেক্ষেত্রে এই রকম গতি সম্পন্ন ব্রডব্যান্ডের প্রয়োজন রয়েছে। আর ড্রিমহ্যাক আমাদেরকে ভবিষ্যতের সেই গতি পরীক্ষার সুযোগ দিচ্ছে।”
ইন্টারনেট গতির রেকর্ড জয় স্বপ্নের বর্ণনা দিতে গিয়ে জন ম্যালগ্রেন বলেন, “গত গ্রীষ্ম থেকে শুরু হয়েছে, টেলিয়া ফাইবার নেটওয়ার্ক তৈরি করবার কাজে নিযুক্ত হয়। আর একজোড়া সিআরএস-৩ রাউটার নিয়ে হার্ডওয়্যার অংশটি দেখাশোনা করছে সিসকো।”
এদিকে উভয় কোম্পানির পক্ষ থেকে দেয়া যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন করা গেলে ‘ক্যাপাসিটি ইউটিলাইজেশন’ নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে একটা রেকর্ড তৈরি করবে। এর মাধ্যমে ৭৫০ হাজার মানুষ একসাথে মিউজিক স্ট্রিম করতে পারবে। তখন মাত্র দশমিক ০৪৭ সেকেন্ডে একটা মুভি ডাউনলোড করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী ড্রিমহাক ফেস্টিভটি ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ল্যান পার্টি’ হিসেবে স্বীকৃত।
