প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন, সুস্থ থাকুন

প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন, সুস্থ থাকুন

ব্যায়াম বা শরীর চর্চা প্রতিটি পূর্ণ বয়স্ক মানুষের করা বাঞ্জনীয়। ব্যায়াম শুধু শরীরকে সচল ও ফিট রাখে তাই নয়, ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের খারাপ চর্বি বা ব্যাড কোলেষ্টেরলের মাত্রা কমে এবং ভালো চর্বি বা গুড কোলেষ্টেরল এইচডিএল-এর মাত্রা বাড়ে। পাশাপাশি ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ত্বরাম্বিত হয় এবং দ্রুত রক্ত চলাচলের কারণে হার্টের রক্তনালীতে চর্বি জমতে পারেনা। ফলে হার্টে ব্লক তৈরীও হতে পারে না, পাশাপাশি যাদের হার্টের রক্তনালীতে ব্লক বা খানিকটা চর্বি জমেছে সেক্ষেত্রেও ব্যায়াম রক্তনালীতে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয়না। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর মুটিয়ে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা পায়। এমনকি যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের মানসিক চাপ কমে, প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে অন্ততঃ ৫দিন ব্যায়াম করা উচিত। ব্যায়াম বলতে শরীর চর্চা, সাতার, সাইক্লিং, ট্রেডমিল, হাঁটা, জগিং ইত্যাদি বুঝায়। তাই যার যে ধরণের ব্যায়ামের সুযোগ সুবিধা আছে তিনি সে ধরণের ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন অন্ততঃ ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। যাদের দুবেলা ব্যায়াম করার অভ্যাস আছে তাদের সকালে ও বিকালে বা সন্ধ্যায় ব্যায়াম করলে কোন ক্ষতি নেই। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভারী ব্যায়াম না করাই ভালো। সকালে ব্যায়াম করতে হলে খানিকটা জগিং করে তারপর ভারী ব্যায়াম করুন।

টরেন্ট এর A-Z জানতে চান?

এই সারসংক্ষেপটি পাওয়া যাবে না। পোস্ট দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন

দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে ভিডিও গেমস

নিউ ইয়র্কের ইউনিভার্সিটি অব রচেস্টারের গবেষকরা জানিয়েছেন যে, ভিডিও গেমস মানুষকে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে প্রশিক্ষণ দেয়৷ ভিডিও গেমের ভক্তরা তাদের চারপাশে যা ঘটছে, সেখান থেকে সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে এবং এই অর্জনের মাধ্যমে তারা শুধু ভিডিও গেমসই ভালো খেলছে, তা নয়, বরং সাথে সাথে তাদের সাধারণ দক্ষতাও বাড়ছে৷ যেমন এর ফলে তাদের গাড়ি চালানো, ছোট ছাপার অক্ষর পড়া, ভিড়ের মধ্যে থেকেও বন্ধুকে খুঁজে বের করা এবং শহরময় নেভিগেটিং প্রক্রিয়া অর্থাৎ, পরিচালনা শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করছে ভিডিও গেমস৷

সর্বশেষ বায়োলজি জার্নালের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভিডিও গেমস মানুষকে এমন ধরণের প্রশিক্ষণ দেয়, যাতে বাস্তব জীবনের যেকোন পরিস্থিতিতে মানুষ খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে৷ প্রশ্ন হলো - ভিডিও গেমস কী শুধু ছোটরাই খেলে? না, তা নয়৷ তবে মূলত অল্প বয়সিরাই ভিডিও গেমসের ভক্ত হলেও, অনেক সময় বড়রাও ভিডিও গেমস থেকে মজা পান৷ যুক্তরাষ্ট্রে কিন্তু ভিডিও গেমসের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বেড়েই চলেছে৷ আর এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ছোট-বড় সবার মধ্যে৷ এন্টারটেইনমেন্ট সফ্টওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের ২০০৯ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শতকরা ৬৮ ভাগ অ্যামেরিকানের বাড়ির সকল সদস্যরাই ভিডিও গেম খেলেন৷ ভিডিও গেম

সাধারণ ভিডিও গেমসের ভক্ত নয় এইরকম ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সের বেশ কয়েকজনের ওপর গবেষকরা পরীক্ষা চালান৷ তাঁরা, এই ধরণের খেলোয়াড়দেরকে দু'টি দলে ভাগ করেন৷ একটি দলকে ভিডিও গেমসের প্রথম ৫০ ঘন্টার খেলা খেলতে দেন, যার মধ্যে উত্তেজনা এবং গতি বেশি ছিল৷ এঁদেরকে অ্যাকশন গেম খেলোয়াড় বলা হচ্ছে৷ আর এই খেলার নাম দেয়া হয়, ‘‘কল অব ডিউটি টু'' ও ‘‘আনরিয়াল টুর্ণামেন্ট''৷ এতো গেলো প্রথম দলটির কথা, আর দ্বিতীয় দলটিকে গবেষকরা আরো ৫০ ঘন্টার ধীর গতির খেলাটি খেলতে দেন৷ এই কৌশলের নাম দেয়া হয়, ‘‘দ্য সিমস টু''৷

খেলোয়াড়দের ওপরে গবেষকদের এই প্রশিক্ষণ শেষ হবার পর, গবেষকরা এমন কিছু বিষয় তৈরি করেন, যেখানে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়৷ বিষয়গুলো স্ক্রিনে দেখানো হয়, প্রতিযোগীরা নজর বুলিয়ে দ্রুত বুঝে নেন, কী ঘটছে, এবং যত দ্রুত সম্ভব সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন৷ তবে এই ক্ষেত্রে এমন কিছু বিষয়ও ছিল, যা শুধু স্ক্রিনে দেখেই বোঝা যাবে না, গবেষকরা সেইসব বিষয়ে প্রতিযোগীদের বিস্তারিতভাবে বুঝিয়েছেন সঠিক উত্তরটি পাবার জন্যে৷

ইউনিভার্সিটি অব রচেস্টারের ব্রেন অ্যান্ড কগনিটিভ সায়েন্সের অধ্যাপক ডাফনে বেভেলিয়েরের নেতৃত্বে এই গবেষণায় অংশ নেন তাঁর সহকর্মীরা৷ গবেষকদের এই পরীক্ষা শেষ হবার পরে দেখা গেছে, গবেষণায় অংশ নেয়া খেলোয়াড়দের শতকরা ২৫ ভাগেরও বেশি খুব দ্রুতই গবেষণার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন এবং গবেষকদের কৌশল অনুযায়ী বহু প্রশ্নের উত্তরই তাঁরা সঠিকভাবে দিয়েছেন৷ বেভেলিয়ের বলেন, ‘‘আনরিয়াল টুর্ণামেন্ট''-এর শতকরা ২৫ ভাগের বেশি সঠিক উত্তর দিয়েছেন, মানে তাঁরা কিন্তু খারাপ করেননি৷ এই খেলোয়াড়রা একেবারে সঠিক উত্তর দিয়েছেন এবং খুব দ্রুত উত্তর দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, অ্যাকশন গেম খেলোয়াড়রা প্রতি ইউনিট সময়ে আরো সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ বেভেলিয়ের বলেন, কেউ সার্জন হলে অথবা যুদ্ধক্ষেত্রের মাঝখানে থাকলেই, কেবল পার্থক্য নিরূপণ করতে পারেন৷ এই গবেষক বলেন, সিদ্ধান্ত কখনও কালো বা সাদা হয় না৷ তিনি বলেন, আমাদের ব্রেন সবসময় সম্ভবনা খুঁজে দেখে৷ যেমন ধরা যাক, আপনি গাড়ি চালাচ্ছেন এবং আপনার ডানদিকে একটা কিছু নড়াচরা দেখলেন, দ্রুত আপনার ব্রেন হিসেব করে নিল সংঘর্ষ হবে কিনা অথবা হলে কখন হবে৷ আর এর ওপর ভিত্তি করেই আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন ব্রেক করবেন কী করবেন না৷

গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাকশন ভিডিও গেম খেলোয়াড়দের দৃষ্টি শক্তি এবং স্নায়ু শক্তি অনেক বেশি কার্যকর৷ তাঁদের ব্রেন জরুরি কোন তথ্য পাবার পরে, সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রেও অনেক বেশি দ্রুত কাজ করে৷ আর যাঁরা খেলোয়াড় নন, তাঁদের চেয়ে এই খেলোয়াড়দের ব্রেনের গতি অনেক বেশি দ্রুত৷

জেনে নিন মজার কিছু তথ্য

১০০ বছর আগেও বোর্নিওতে মানুষের মাথার খুলি মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

প্রাচীনকালে শুধু চিনেই রেশম চাষ হতো। তা হতো কড়া পাহারায়। কেউ এই গোপনীয়তা ফাঁস করার চেষ্টা করলে তার শাস্তি হতো মৃত্যুদণ্ড।

বিড়াল ১০০ রকম শব্দ করতে পারে। আর কুকুর পারে মাত্র ১০ রকম।

বাচ্চা বিড়াল চোখ বন্ধ অবস্থায় জন্মায়। ৭ থেকে ১৪ দিন এভাবে চোখ বন্ধ অবস্থাতেই থাকে।

পৃথিবীর প্রাণীদের মধ্যে ৮০ ভাগই হচ্ছে পোকামাকড়।

প্রাচীনকালে গ্রীক ও রোমানরা শুকনো তরমুজকে মাথার হেলমেট হিসেবে ব্যবহার করতো।

চোখ খুলে হাঁচি দেখা সম্ভব নয়। আয়নায় চেষ্টা করে দেখতে পারেন!।

শিশুরা কথা বলতে শিখলেই নানান প্রশ্ন করে। একটি ৪ বছরের শিশু প্রতিদিন গড়ে ৪৩৭টি প্রশ্ন করে।

বিগত চার হাজার বছর মানুষ নতুন কোন প্রাণীকে পোষ মানাতে পারেনি।

প্রত্যেক মানুষের হাতের ছাপের মতো জিহ্বার ছাপও পুরোপুরি আলাদা। কারোটার সাথে কারোটার কোন মিল নেই।

মাথা কাটা পড়লেও তেলাপোকা বেঁচে থাকে কয়েক সপ্তাহ! ঐ কয়দিন কিভাবে সে খানাপিনা করে কে জানে?

উড়ার সময় বাদুড় সবসময় বামদিকে মোড় নেয়, কখনো ডানদিকে যায় না।

কাঠবিড়ালীরা পিছু হটতে পারেনা। মানে পেছন দিকে যেতে চাইলেও পুরো উল্টা ঘুরে তারপর ওদেরকে পিছন দিকে যেতে হয়।

পৃথিবীতে একটি প্রাণীর নাম বলেন তো, যার কোনো মগজ বা মস্তিস্ক অর্থাৎ ব্রেইন নেই? ভাবছেন যাহ, মগজ ছাড়া প্রাণী তা আবার হয় নাকি? আরে সত্যিই তাই! স্টার ফিশ নামের একধরনের সামুদ্রিক মাছের নাকি কোনো মগজই নেই। মগজের বদলে এক ধরনের স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমেই তারা তাদের যাবতীয় কাজ করে থাকে। প্রশ্ন করতেই পারেন যে তাদেরকে কেনোই বা মাছ বলা হয়? তাহলে শোনেন, তারা আসলে মাছ নয়। পানির নিচে থাকে বলেই তাদেরকে তারা মাছ বা স্টার ফিস বলে ডাকা হয়।

পৃথিবীতে সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বাচ্চারাই লাফালাফি করে থাকে। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু হাতিদের বেলাতে। কারণ হচ্ছে, শুধু হাতিরাই লাফাতে পারে না। বেচারা হাতি! ওরা কোনদিন বুঝতেও পারবে না লাফঝাঁপ দেয়ার কি মজা।

থিবীতে কতই না প্রাণী। এতো বড় থেকে শুরু করে চোখে দেখা যায় না এমন প্রাণীও রয়েছে। তবে আমাদের পৃথিবীতে ৯৫% প্রাণীই একটা মুরগীর ডিমের চেয়েও ছোট।

অনেকেই হেভি মেটাল মিউজিক শুনতে ভালোবাসে, আবার অনেকেই ভালোবাসে না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো উইপোকারা হেভি মেটাল মিউজিক খুব পছন্দ করে। মিউজিক শোনার সময় তারা দ্বিগুণ গতিতে কাঠ কাটতে পারে।

Blogger templates

.