পৃথিবীর সবচেয়ে বড়, ছোট এবং জনপ্রিয় ডাইনোসররা

সেটি ছিল উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিককার কথা, যখন ডাইনোসরের প্রথম জীবাশ্ম আবষ্কৃত হয়।এরপর সারা পৃথিবীতে পর্বত বা শিলায় আটকা পড়ে থাকা ডাইনোসরের কঙ্কাল আবিষ্কৃত হতে থাকে। ডাইনোসর এই পৃথিবী নামক গ্রহের প্রাগৈতিহাসিক অধিবাসী।যারা প্রায় ১৬০ মিলিয়ন বছর ধরে পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে।আর আজকের আধুনিক পাখিরা থেরোপোড ডাইনোসরদের সরাসরি বংশধর বলে ধারনা করা হয়।ডাইনোসর’ নামটি এসেছে গ্রিক ভাষা থেকে যার অর্থ “ভয়ঙ্কর টিকটিকি”। ১৮৪২ সালে ইংরেজ জীবাশ্মবিদ রিচার্ড ওয়েন ওদের অমন বিদঘুটে নামটি দেন।

Dinosaurs এর মত পৃথিবীর বিলুপ্ত কিছু প্রানী | Aro Jante Chai

পৃথিবীতে কোন কিছুই চিরকালের জন্য নয়। তবে যা কিছু বিলুপ্ত হয়ে গেছে সেগুলোর মূল কারনে পিছনে রয়েছে মানুষের হাত। তবে পৃথিবীর কত গুলো প্রানী সম্পর্কেই বা আমরা জানি। হয়ত যতগুলো প্রজাতী রয়েছে তার থেকে ১ ভাগ। মানুষের জীবনই এখন টিকিয়ে রাখতে কঠিন হয়ে পরেছে তবে এর পিছনেও রয়েছে মানব সৃষ্ট কারন।
                                                                                      বাকিটুকু পড়ুন

ভাইরাস আক্রমণে অফিস প্রিন্টার

ম্যালওয়ার ভাইরাস 'মিলিসেনসো'-র আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী কর্পোরেট অফিসগুলো। ভাইরাসটির আক্রমণে লাখ লাখ অফিস প্রিন্টার প্রিন্টিং কমান্ড ছাড়াই অপ্রয়োজনীয় এবং এলোমেলো লেখা কাগজে প্রিন্ট শুরু করায় অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিকভাবে বিপাকে পড়েছে শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট অফিসগুলো। খবর বিবিসির।

ইন্টারনেট সিকিউরিটি ফার্মগুলো জানিয়েছে, এই ভাইরাস আক্রমণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা এবং ভারতের কর্পোরেট অফিসগুলো। 'মিলিসেনসো' প্রথম আবিষ্কার হয় ২০১০ সালে। এরপর থেকে একাধিকবার এই ভাইরাসটি ব্যবহার করেছে হাই-টেক ক্রাইম গ্রুপগুলো।

আজব যতো জায়গা

পামুক্কালে

এই আজব লেকটি অবস্থিত তুরস্কে। তুরস্ক কোথায় তা জানো তো নিশ্চয়ই। এই দেশটাই অবশ্য একটা আজব দেশ, এর এক অংশ এশিয়া মহাদেশে, আর বাকি অংশটুকু আবার ইউরোপ মহাদেশে। এই আজব দেশেরই এক আজব জায়গা এই পামুক্কালে। এখানকার লেকগুলো দেখলে তো তুমি একেবারে আশ্চর্য হয়ে যাবে। সাদা লবনের বিশাল বিশাল স্তরে ছোট্ট ছোট্ট পুচকে পুচকে জলাধার। সেগুলোতে আবার মানুষ আগে ঘটা করে গোসলও করতে যেতো। তারা বিশ্বাস করতো ওখানে গোসল করলে শরীর ভালো থাকে। করতো বলছি কেনো, এখনো অনেকে তা-ই বিশ্বাস করে। কিন্তু এখন আর ওখানে কেউ গোসল করতে পারে না। লেকগুলোর যদি কোনো ক্ষতি হয়ে যায়, বা কেউ যদি অসতর্ক হয়ে পুচকে পুচকে লেকগুলোর কোনো ক্ষতি করে ফেলে সেই ভয়ে তুরস্ক সরকার ওগুলোতে দর্শনার্থীদের গোসল করতে বারণ করে দিয়েছে।

পৃথিবীতে দ্রুততম যারা


চিতা বাঘ (Chitaah)

পৃথিবীর স্থলচর দ্রুত প্রাণীদের কথা বলতে গেলে প্রথমেই চলে আসবে চিতা বাঘের কথা। এ আর নতুন কি! কারণ বিড়াল প্রজাতির এই প্রাণীটি অসম্ভব দ্রুত দৌড়াতে পারে। কল্পনা করো তো একটা প্রাণী ঘন্টায় ৭০ মাইল বেগে দৌড়ে যাচ্ছে! এত জোরে গাড়ি চালালে তো সেটা অ্যাক্সিডেন্ট করবে নিশ্চিত। তবে চিতা বাঘ কিন্তু অ্যাক্সিডেন্ট করে না। মজার ব্যাপার  তাই না! আর একটা মজার কথা শোনো। গাড়ি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে কি তার স্পিড ওঠে? ওঠে না! কিন্তু চিতা বাঘ দৌড়ানো শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই তার গতি শুন্য থেকে একলাফে ৭০ মাইলে উঠে যায়। আর এই বেগ তুলতে তার সময় লাগে মাত্র ৩ সেকেন্ড।

দ্বীপের নাম নিঝুম দ্বীপ

নিঝুম দ্বীপ কিন্তু পানির ভেতরে লুকিয়ে ছিলো অনেক দিন। ১৯৭২ সালের দিকে বন বিভাগের লোকজন এই বনটি আবিষ্কার করে। তখন তারা দ্বীপটিতে কেওড়া গাছ লাগিয়ে দিয়েছিলো। কেওড়া গাছের বৈশিষ্ট্য হলো- এতে শ্বাসমূল থাকে। শ্বাসমূল তো চেনোই। যে কোনো ম্যানগ্রোভ বনে গেলে দেখবে গাছগুলোর চারপাশে মাটি থেকে ছোট ছোট খুটির মতো কি যেনো বের হয়ে আছে। এগুলোই শ্বাসমূল। বনে লোনা পানি ঢুকে গেলে গাছগুলো আর মাটি থেকে শ্বাস নিতে পারে না। তখন শ্বাসমূলগুলো দিয়ে তারা নিঃশ্বাস নেয়। এজন্য যেখানে পানি বেশি ওঠে সেখানে শ্বাসমূলও বেশি লম্বা হয়। শ্বাসমূল থাকে বলেই কেওড়া গাছ লোনা জলেও ভালোভাবে বাঁচতে পারে। এখন তো সেখানে কেওড়া গাছের ঘন বনই হয়ে গেছে। তবে দ্বীপের যে অংশে মানুষ থাকে সেখানে তুমি বিভিন্ন ফুলেরও দেখা পাবে। তবে সেগুলো আসলে মানুষই আশেপাশের দ্বীপগুলো থেকে আসার সময় নিয়ে এসেছে।

পৃথিবীর বিষধর ১০ প্রাণী

Box Jellyfish

বক্স-জেলিফিস (Box Jellyfish):

প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য

আমাদের এই পৃথিবীটা যে সত্যিই সুন্দর তা একটু ভালো করে দেখলেই বোঝা যায়। সেই আদ্দিকাল থেকেই কতোই না অবাক করা আশ্চর্য অদ্ভুদ সব বিষয়-আশয়, জিনিসপত্র পৃথিবীতে রয়েছে। এর কোনোটা প্রকৃতিই তার আজব খেয়ালে তৈরি করেছে আবার কোনো কোনোটি মানুষ তৈরি করেছে। মোদ্দা কথা হলো, এসবের প্রত্যেকটিই মানুষের কাছে আজও বিস্ময়ের, আশ্চর্যের; যে রহস্য আজো উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। প্রকৃতির অদ্ভুত সব সৃষ্টি আর মানুষের বিচিত্র খেয়ালে পৃথিবী সবসময়ের জন্যই সুন্দর। মানুষ পৃথিবীতে যেসমস্ত আশ্চর্য রহস্যঘেরা জিনিস তৈরি করেছে তার অনেকগুলোই আজ আর নেই। এর কোনোটা ধ্বংস হয়ে গেছে আবার কোনোটাকে মানুষ নিজেই ধ্বংস করেছে।

হিরোশিমা কথা কয়

৬ আগস্ট হিরোশিমা দিবস।

Hiroshima8802ভাবছো হিরোশিমা দিবস কী! উত্তর দেওয়ার আগে জিজ্ঞেস করে নিই একটা প্রশ্ন, তোমরা কি কেউ জাপানের হিরোশিমা শহরে বেড়াতে গিয়েছো? অবশ্য না গিয়ে থাকলেও ক্ষতি নেই। টেলিভিশন আর ইন্টারনেটেই তোমরা জেনে নিতে পারবে হিরোশিমার গল্প। নিশ্চয়ই এরই মধ্যে কেউ কেউ জেনেও নিয়েছো। আর এবারের কিডজেই তো আমরা হিরোশিমা শহরের এক মর্মান্তিক সত্যি ঘটনা নিয়ে লিখছি।

কিম্ভুতকিমাকার প্রাণীদের গল্প

কথায় বলে, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। কিন্তু সত্যিই তাই? তাহলে অসুন্দররা কী সবসময় ব্যর্থ হয়? কিম্বা তাদের স্বভাব চরিত্র কী খুব খারাপ হয়? সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে, কয়েকটি প্রাণীর কথা জেনে নাও। এসব প্রাণীদের একটা বিশেষত্ব আছে। সেটা হচ্ছে, এরা দেখতে মোটেও ভালো নয়। উল্টো বিদঘুটে। কিম্ভুতকিমাকার শব্দটি এইসব প্রাণীদের সাথে চমৎকার ভাবে মানিয়ে যায়। এদের দেখলে তোমাদের কেউ কেউ ঘেন্নায় মুখ ফিরিয়ে নেবে, কেউ কেউ ভয়ে শিউরে উঠবে। কিন্তু প্রাণীগুলো দেখতে খারাপ বলে সবার স্বভাব চরিত্র যে খারাপ তা কিন্তু মোটেও সত্যি নয়। এদের কারো কারো স্বভাব একটু আধটু খারাপ হলেও অনেকেই আছে যারা একেবারেই নিরীহ টাইপের প্রাণী। শুধু তাই নয়, এরা অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের উপকার করে।

প্যাঙ্গোলিন

রহস্যের দ্বীপ মাদাগাস্কার

পৃথিবীর অনেক দেশের নামই তো তোমরা শুনেছো, আর অনেক দেশের কথাই তোমরা জানো। কিন্তু ‘মাদাগাস্কার’ দেশটির নাম কি কখনও শুনেছো? অনেকেই হয়তো শুনেছো। কেনো, ‘মাদাগাস্কার’ ছবিটা তোমরা দেখোনি বুঝি? ‘কী দেখবে’ তে তো এই ছবিটার গল্পও পড়েছো। ছবিটার গল্প পড়তে চাইলে কী দেখবে’ তে গিয়ে পড়ে নিও, এখন বরং তোমাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিই ‘মাদাগাস্কার’ দেশটির সাথে।

আগে মাদাগাস্কারের নাম ছিলো মালাগাছি। কিন্তু আগের সেই নাম অনেক আগেই বাতিল হয়ে গেছে। এখন এর পুরো নাম ‘দ্য রিপাবলিক অফ মাদাগাস্কার’।  জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এ দেশটি পৃথিবীর ৫টি মহাসাগরের একটি ভারত মহাসাগরের পাশে, আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। তবে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত বলেই যেন ভেবে বসো না দেশটি আমাদের আশেপাশেই কোথাও। দেশটি কিন্তু আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে পড়েছে। ৫,৮৭,০০০ বর্গকিলোমিটারের এ দেশটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র। এরচেয়েও বড়ো দ্বীপরাষ্ট্র তিনটি হলো গ্রিনল্যান্ড, নিউ গায়ানা আর বোর্নিও।

রোবট এলো কেমন করে

রোবট নিয়ে তো তোমাদের ব্যাপক আগ্রহ, তাই না? রোবট নিয়ে যতো সাইন্স-ফিকশন আর গল্প হাতের কাছে পাও সবই ঝটপট করে পড়ে ফেলো। রোবট নিয়ে কোনো ছবি হলে তো কথাই নেই, সেটা শেষ না করে ওঠাই যাবে না। কিন্তু এই যে রোবট, এর ইতিহাস কি জানো? কে প্রথম রোবট তৈরির কথা বলেছিলেন, ‘রোবট’ শব্দটাই বা আসলো কোত্থেকে, অথবা কিভাবেই বা রোবট তৈরির প্রযুক্তি আজকের পর্যায়ে আসলো, এসব কথা কি তোমাদের জানতে ইচ্ছে করে না? করবে না-ই বা কেন, সেসব তো আমারও খুব জানতে ইচ্ছে করে! চলো, মানুষের ইতিহাসের পরে এবারে জেনে আসি রোবটদের ইতিহাস!

ইয়েতি রহস্য!

প্রথমে আসা যাক ওদের নামের ব্যাপারটায়। ‘ইয়েতি’ নামটা এসেছে তিব্বতি ভাষা থেকে; বাংলা করলে অনেকটা হয় ‘পাথুরে ভল্লুক’! হিমালয়ের মানুষরা আগে বলতো, ইয়েতিরা নাকি সারাক্ষণ বিশাল একটা পাথর নিয়ে ঘুরে বেড়াতো, আত্মরক্ষা নয়তো শিকার করার জন্য। আর শিস দেয়ার মতো এক রকম শব্দ করতো। আর ওই পাথর নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্যই হয়তো ওদের নাম দিয়েছিলো পাথুরে ভল্লুক বা ইয়েতি। ওদের এই ‘ইয়েতি’ নামটা জনপ্রিয় হয়ে গেলেও ওদের কিন্তু আরো অনেকগুলো মজার মজার নাম আছে। এই যেমন, ‘মেহ-তেহ’, মানে হলো মানুষ-ভল্লুক! আবার ‘মি-গো’, মানে বনমানুষ! তারপর ‘ক্যাং আদমি’ বা তুষারমানব, ‘জোব্রান’ বা মানুষখেকো।

ইনকাদের হারিয়ে যাওয়া শহর

মাচু পিচু মানে পুরোনো চূড়ো
মাচু পিচু! নামটাই কেমন অদ্ভুত, তাইনা? আসলে আজকে আমরা যে সব জিনিসের নাম জানবো তাদের সবগুলোর নামই বেশ অদ্ভুত। এমনকি ইনকাদের প্রাচীন এই ভাষাটিরও নাম বেশ অদ্ভুত- ‘কুয়েচুয়া’ ভাষা। কুয়েচুয়া ভাষায় মাচু পিচু শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘পুরোনো চূড়ো’। পাহাড়ের চূড়ায় তৈরি করা হয়েছিলো বলেই হয়তো তারা শহরটির এমন নাম দিয়েছিলো। শুনলে অবাক হতে হয়, মাচু পিচু শহরটি নাকি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,৪০০ মিটার  (৭,৮৭৫ ফিট)  উঁচুতে অবস্থিত। অর্থাৎ কিনা, আমাদের দেশের সর্বোচ্চ চূড়া তাজিনডং-এরও (১২৩১ মিটার) প্রায় দ্বিগুণ উচ্চতায়! এতো উঁচুতে কিভাবে তারা একটা আস্ত শহর তৈরি করে ফেললো সেটাই কিন্তু একটা বিরাট ভাবনার বিষয়।

হারিয়ে যাওয়া প্রাণীদের রাজ্যে

  
কাগা: অর্ধেক জেব্রা, অর্ধেক ঘোড়া
না না, সুকুমার রায়েরায়ের কল্পনার হাঁসজাড়ুর কথা বলছি না; সত্যিই একসময় পৃথিবীতে কাগা নামের একটি প্রজাতির জেব্রা ছিলো, যাদের দেহের অর্ধেকটা দেখতে ছিলো ঠিক ঘোড়ার মতো। আফ্রিকার গহীন অরণ্যে স্বাধীনভাবে দল বেঁধে ঘুরে বেড়াতো এরা। কিন্তু মানুষ নামের সবচেয়ে ‘বুদ্ধিমান’ প্রাণীদের অত্যাচারে আঠারো শতকের শেষের দিকেই এরা বিদায় নেয় এই ধরাধাম থেকে।

মশা কাহিনী


মশার জন্ম
মশারা কিভাবে বংশবিস্তার করে জানো? মা মশারা ডিম পাড়ে, আর সেই ডিম ফুটে তবেই মশা হয়। আর মা মশা কিন্তু একবারে একটা-দুটো ডিম পাড়ে না, অনেকগুলো ডিম পাড়ে। আর কোথায় ডিম পাড়ে জানো? নোংরা আর বদ্ধ দেখে কোনো ডোবা বা পুকুরে! ভাবছে, তবেই তো ডিমগুলোর ডুবে যাবার কথা! না, ডোবে না। কারণ, মা মশা ডিমগুলোকে একসাথে করে একটা ভেলার মতো বানিয়ে পুকুরে ছেড়ে দেয়। অনেকটা লাল পিঁপড়াদের ভেলার মতো। আর তাই ডিমগুলো তো ডোবেই না, উল্টো সুন্দর লাইন করে মার্চ করা সৈন্যদের মতো ভাসতে থাকে।

বামন প্রাণীদের গল্প

ছোট্ট কুকুর “ডাকি”
গিনেজ বুকে নাম লেখানো পৃথিবীর সবচাইতে ছোট্ট কুকুরটির নাম ‘ডাকি’। এর ওজন মাত্র ১.৪ পাউন্ড অর্থাৎ কিনা ১ কেজিরও কম। আর দৈর্ঘ্যে মাত্র ৪.৯ ইঞ্চি অর্থাৎ দাগ টানার জন্য তোমরা যে ছোট ছোট ৬ ইঞ্চি স্কেল ব্যবহার করো, তারচেয়েও এক ইঞ্চি কম। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছো, কত্তো ছোট্ট আকারের কুকুর এই ডাকি। তবে ছোট্ট হলেও এর চেহারাটা কিন্তু বেশ রাগী রাগী। এই যাঃ, ডাকি আসলে কোন জাতের কুকুর সেটা বলতেই তো একদম ভুলে গিয়েছি! ডাকি ‘চিহুয়াহুয়া’ প্রজাতির কুকুর। নামটা শুনে কেমন আফ্রিকান মনে হচ্ছে, তাইনা? তবে আফ্রিকার সাথে কিন্তু এর কোন সম্পর্কই নেই। বরং ডাকি’র বাস হচ্ছে আমেরিকার ম্যাসাচুটস-এ। আর মজার কথা কি জানো? পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট কুকুর হওয়ার জন্য কিন্তু ডাকি’কে রীতিমতো প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিলো। ৫.৪ ইঞ্চি লম্বা স্লোভাকিয়ার ‘ডানকা’ নামের আরেকটা কুকুরকে হারিয়ে তবেই গিনেজ বুকে নাম লেখাতে হয়েছে একে। তবে ডাকিই কিন্তু সবচেয়ে ছোট কুকুর নয়। আসলে ডাকি হচ্ছে জীবন্ত কুকুরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র। এ যাবৎকালের মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র কুকুরটি ছিলো একটি ইয়র্কশায়ার টেরিয়ার প্রজাতির বামন কুকুর। শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবে যে এই কুকুরটি লম্বায় ছিলো মাত্র ২ .৮ ইঞ্চি।
সাপ যখন কয়েনের সমান!
সাপের কথা শুনলেই তো গা কেমন জানি ঘিনঘিন করে ওঠে, তাই না? তোমাদের এরকম হয় কিনা জানি না। তবে আমার কিন্তু সাপ দেখলে সত্যি কেমন জানি লাগে। দেখলেই মনে হয় যেন ফণা তুলে এখুনি কামড়াতে আসবে। তবে লেপ্টোটাইফলপস কার্লে প্রজাতির সাপ দেখলে কিন্তু এমনটি একদমই মনে হয় না। কেননা এরা এতোটাই ছোট যে এরা কামড় দেবে এমন কথা ভাবাই যায় না। অবশ্য কামড় দিলেও সমস্যা নেই। কেননা এদের বিষই থাকে না। লেপ্টোটাইফলপস কার্লে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট প্রজাতির সাপ। এই প্রজাতির একটা পূর্ণবয়স্ক সাপ ৪ ইঞ্চির বেশি লম্বাই হয় না। তাহলেই বোঝো কত্তোখানি ছোট্ট এরা। আরেকটু ভালোমতো বুঝতে পারবে এটা শুনলে যে, এরা দেখতে পুরোদস্তুর ন্যুডলস এর মত আর প্যাঁচালে একটা ৫ টাকার কয়েনের সমান হবে! পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র প্রজাতির এই সাপ আবিষ্কার করেন ব্লেয়ার হেজেস। তিনি এদেরকে খুঁজে পান ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের বার্বাডোস দ্বীপে। আসলেও ব্লেয়ার হেজেসের দৃষ্টিশক্তি খুবই ভালো ছিলো, নইলে কী আর এই পুঁচকে সাপকে খুঁজে পাওয়া যায়! এখনো শুধুমাত্র বার্বাডোসেই এই সাপ দেখতে পাওয়া যায়।
বামন ঘোড়া
পল এবং ক্যে গসেলিং দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে বামন প্রজাতির ঘোড়া উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা করে আসছেন। আর এ কাজে তাদের সাফল্যও অনেক। বেশ কয়েকটি ছোট প্রজাতির ঘোড়া উদ্ভাবন করেছেন তারা। তাদের কাছেই জন্ম নিয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট্ট ঘোড়াটি। তারা এর নাম দিয়েছেন ‘থাম্বলিনা’। সত্যি সত্যিই কিন্তু থাম্বলিনা একটি বামন আকৃতির ঘোড়া। পাঁচ বছর বয়স হয়ে গেছে, তবু বেচারা ১৭ ইঞ্চির বেশি লম্বাই হতে পারেনি! ও আচ্ছা, বলতে ভুলে গেছি, এটি কিন্তু একটা মাদী ঘোড়া,মানে মেয়ে ঘোড়া।
‘মি. পিবলস’ এর সাথে পরিচয়
এবার তোমাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি মি. পিবলস এর সাথে। কি, চমকে গেলে? ভাবছো এই পশুপাখিদের মাঝখানে মি. পিবলসটা আবার কোত্থেকে আসলো? আরে, মি. পিবলস কোন মানুষের নাম নয়। এটি আসলে একটি ছোট্ট আদুরে বিড়ালের নাম। এতোই ছোট, ২০০৪ সালে গিনেজ বুকে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট বিড়াল হিসেবে স্থান পেয়েছে মি. পিবলস নামের এই বিড়ালটি। এটি উচ্চতায় ৬.১ ইঞ্চি আর লম্বায় ১৯.২ ইঞ্চি অর্থাৎ কিনা ঐ যে খুদে কুকুর ‘ডাকি’র কথা বললাম না, ওর চেয়ে খানিকটা বড়ো। আর এর ওজন ৩ পাউন্ড, মানে মোটে ১.৫ কেজি! তবে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র বিড়াল হলেও মি. পিবলস’র বয়স কিন্তু কম নয়। এরই মধ্যে দু’বছর বয়স হয়ে গিয়েছে তার। অর্থাৎ বিড়াল জাতির মধ্যে তাকে রীতিমতো ‘মুরুব্বী’ বলা চলে।
পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মাছ
২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মাছটি আবিষ্কার করা হয় ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে। সত্যি কথা বলতে এই মাছটিই পৃথিবীর সবচাইতে ক্ষুদ্র ‘ভারটেব্রাটা’ অর্থাৎ কিনা মেরুদণ্ডী প্রাণী। অর্থাৎ, যাদের মেরুদণ্ড আছে, তাদের মধ্যে সবচাইতে ছোটো। মাছেদের মধ্যেও আবার পরিবার আছে, একই রকম মাছগুলোকে একই পরিবারে রাখা হয়। এই পুঁচকে মাছটি কার্প পরিবারের একজন সদস্য। তবে এই মাছের নামটা কিন্তু বেশ বিদঘুটে। পেডোসাইপ্রিস প্রোজেনেটিকা। এটি অবশ্য বৈজ্ঞানিক নাম। তবে এর কোন সহজ ডাকনাম এখনো পর্যন্ত দেয়া হয়নি। মানে তুমি ওকে তোমার ইচ্ছেমতোন একটা ডাকনাম দিয়ে ডাকতে পারো। সেই নামে অবশ্য অন্য ডাকবে কিনা, তা বলতে পারি না!
বামন গরু
সামনেই আসছে কোরবানির ঈদ। এই ঈদে তো নিশ্চয়ই গরু কোরবানি দিবে। আর কোরবানির গরু নিয়ে সবচেয়ে মজা হলো, এলাকায় কার গরুটা সবচেয়ে বড়ো তাই নিয়ে গবেষণা করা। কিন্তু বলতে পারবে, সবচেয়ে ছোটো গরু কোনটা? গরুটির জন্ম হয়েছে ইন্ডিয়াতে। ‘ভেচুর কাউ’ নামের খুবই দুর্লভ প্রজাতির একটি গরু এটি। তবে ‘ডাকি’ কিংবা ‘মি. পিবলস’ এর মত এতোটাও ছোট নয় এই গরুটি। উচ্চতায় এটি প্রায় ৩১ ইঞ্চি। তবে গড়ে ৩১-৩৫ ইঞ্চি পর্যন্ত উচ্চতার হয়ে থাকে এই প্রজাতির গরুরা। মানে প্রায় আড়াই থেকে তিন ফুট উঁচু। নেহায়েত ছোট নয়, কি বলো?
গিরগিটি গিরগিটি
পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র প্রজাতির গিরগিটিগুলো লম্বায় মাত্র ১৬ মিলিমিটার হয়। মানে মাত্র আধা ইঞ্চির একটু বেশি। তাহলেই বোঝো! এই গিরগিটি তো তুমি খালি চোখে ভালোমতো দেখতেই পারবে না! আর দেখতে পারলেও বোঝাই যাবে না যে এটা একটা গিরগিটি। এরা এতোই ক্ষুদ্র যে একটা এক টাকার কয়েনের উপর বসলে এদের পুরো শরীরটা সহজেই কয়েনটার উপর এঁটে যায়। ‘স্ফারোডাক্টিলাস এরিয়াজি’ নামক এই গিরগিটিদের একদম নাকের অগ্রভাগ থেকে লেজের শেষ পর্যন্ত পুরোটা মিলেই মাত্র আধা ইঞ্চি। তবে ‘স্ফারোডাক্টিলাস পারথেনোপিওন’ নামক আরেক প্রজাতির গিরগিটিকেও পৃথিবীর সবচাইতে ক্ষুদ্র গিরগিটি হিসেবে ধরা হয়। কেননা দু’টি প্রজাতির গিরগিটির আকৃতিই প্রায় সমান। এই ‘স্ফারোডাক্টিলাস পারথেনোপিওন’দেরকে প্রথম খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল ১৯৬৫ সালে ইংল্যান্ডের ভার্জিন দ্বীপে।

কী, খুব তো ছোট্ট ছোট্ট প্রাণীদের কথা শুনলে। কী ঠিক করলে, বলো? আমি তো ভাবছি এখন থেকে যখনই বনে জঙ্গলে বেড়াতে যাবো, তখনই এমনতরো প্রাণীদের খোঁজ করতে থাকবো। বলা তো যায় না, আমাদের দেশেও হয়তো এমন বামন প্রাণী থাকতে পারে। আর তা যদি আমরা খুঁজে বের করতে পারি, তাহলেই দেখো, গিনেজ বুকে আমাদের দেশের নামট চলে আসবে। আর যে বের করবে, প্রকৃতিবিজ্ঞানী হিসেবে তিনিও কিন্তু সবার সামনে চলে আসবেন। কী, নেবে নাকি চান্সটা?

ফাটলের নাম গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন!

বু

বন্ধুরা, আজ তোমাদের নিয়ে যাবো অদ্ভূত এক দেশে। রুক্ষ পাথরে গড়া সে দেশে খালি পাহাড় আর পাহাড়। তাও সাধারণ পাহাড় নয়, বিচিত্র সব রঙের বিচিত্র সব পাহাড়। ভাবছো, পাহাড় আবার হরেক রঙের হয় কিভাবে! সত্যিই কিন্তু তা-ই। সে দেশে আর আছে শুধু গিরিখাত। নিশ্চয়ই চিন্তায় পড়ে গেলে, এই গিরিখাত জিনিসটা আবার কি? দাঁড়াও, বুঝিয়ে বলছি। এক কথায় যদি জানতে চাও, তাহলে বলবো গিরিখাত হচ্ছে পাহাড়ের গায়ের ফাটল। তবে সাধারণ বা ছোটোখাটো ফাটল নয়, বিশাল বিশাল ফাটল। এতোই বিশাল যে, কিছু কিছু জায়গায় এসব ফাটল মাইলখানেক চওড়া পর্যন্ত হয়ে থাকে! আর এসব ফাটল কিন্তু একদিনে তৈরি হয়না। কোটি কোটি বছর ধরে আস্তে আস্তে তৈরি হয় এসব ফাটল বা গিরিখাত। এমনকি আজকে আমরা যে গিরিখাতটির গল্প শুনবো সেটিও প্রায় ১৭ মিলিয়ন অর্থাৎ কিনা ১ কোটি ৭০ লক্ষ বছর পার করেছে আজকের অবস্থায় আসতে। পাথুরে পাহাড় আর গিরিখাতের অসম্ভব সুন্দর এই রাজ্যটির নাম ‘দ্য গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’।

হারিয়ে যাওয়া ডোডো পাখি

ডোডো পাখি- নামটাই কেমন অদ্ভূত, তাই না? এই পাখিটার নামটা যেমন অদ্ভূত, পাখিটা দেখতেও ছিল তেমনই অদ্ভূত। উটপাখির মতো বিশাল আকারের শরীর, সঙ্গে কবুতর কি টিয়াপাখির মতো ছোট্ট একজোড়া ডানা! ভাবছো, এমন অদ্ভূতুড়ে একটা পাখি, পাখিটাকে তো দেখতেই হয়। উহু, তোমার সে আশায় গুড়ে বালি। তুমি চাইলেও পাখিটিকে দেখতে পারবে না। কী করে দেখবে, পাখিটি যে আর পৃথিবীতেই নেই! ১৭০০ সালের আগেই যে ডোডো পাখি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে!

কীভাবে বিলুপ্ত হলো এই ডোডো পাখি? সে তো বলবোই। তার আগে চলো এই অদ্ভূত আকৃতির পাখিটির গল্প আরো ভালো করে শুনে আসি; কীভাবে পাখিটিকে মানুষ আবিষ্কার করলো, পাখিটি দেখতে-আকার-আকৃতিতে কেমন ছিল, কিংবা ওদের স্বভাব-চরিত্রই বা কেমন ছিল।

প্রকৃতির আজব খেয়াল!


ক্রিকেট বল সাইজের তুষারপাত!
সে প্রায় ১০০ বছর আগের কথা। হিমালয়ের প্রায় ১ হাজার মানুষ রহস্যজনকভাবে মারা গেল। কিন্তু কীভাবে? কারো তো মাথায়-ই আসে না। সেই রহস্যের উদ্ঘাটন হয়েছে এই কিছুদিন আগে। ওই ১ হাজার লোক মারা গিয়েছিলো তুষারপাতে! ঠিক তুষারপাত নয়, বলতে পারো বড়ো বড়ো তুষারের চাঁইয়ের বৃষ্টিতে। একেকটা তুষার ছিলো ক্রিকেট বলের মতো বড়ো! অমন বড়ো বড়ো তুষার কারো মাথায় পড়লে, সে কী আর বাঁচতে পারে? আর আকাশ থেকেই যখন পড়েছে, গতি তো আর কম ছিলো না; কমসে কম ১০০ মাইল বেগে তো হবেই! অতো বড়ো তুষারের বৃষ্টি কীভাবে হলো? আকাশে মেঘ থাকে তুষারের মতো হয়ে। তারপর সেই মেঘ গলে গলে বৃষ্টি হয়। আর ঠাণ্ডা অঞ্চলে মেঘ পুরোপুরি গলতে পারে না বলে বৃষ্টি না হয়ে তুষারপাত হয়। কিন্তু হিমালয়ে সেদিন মনে হয় ঠাণ্ডা একটু বেশিই ছিলো। আর তাই গলে তুষারের সাইজও খুব একটা ছোট হতে পারেনি। আর এই কারণে মারা গিয়েছিলো প্রায় ১ হাজার মানুষ।

মায়া সভ্যতার মায়ায়

‘মায়া সভ্যতা’- শব্দ দু’টিতেই কেমন একটা রহস্যের গন্ধ আছে, তাইনা? না জানি এই সভ্যতায় আরো কতো রহস্য লুকিয়ে আছে। এমনিতেই তো পুরোনো সভ্যতার গল্পগুলো কতো মজার হয়। কেন, কিছুদিন আগে তোমাদেরকে যে ইনকা সভ্যতার গল্প বলা হয়েছিল, মনে নেই? সেই গল্পগুলোও তো কত্তো মজার ছিল। একটা ছিল ইনকাদের বিখ্যাত শহর মাচু পিচুর গল্প, আরেকটা ছিল ওদের মমি হয়ে যাওয়া তিন শিশুর গল্প। তোমরা যারা পড়তে ভুলে গেছো, তোমাদের জন্য মাচু পিচু শহরের গল্পটির লিঙ্কও দিয়ে দিলাম- ইনকাদের হারিয়ে যাওয়া শহর-

রূপকথার রাজপুত্র হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন

মনে আছে, সেই কুৎসিত হাঁসের ছানার গল্পটা? কিংবা থাম্বেলিনা গল্পটা? স্নো হোয়াইট অথবা ছোট্ট মৎস্যকুমারীর গল্প? বলবে, বারে! এসব গল্প কে না জানে? এগুলোর কথা আবার নতুন করে বলার কী আছে? না, আজ ওই গল্পগুলোর কথা বলবো না, বলবো ওই গল্পগুলোর লেখকের কথা। নাম তার হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন। ডেনিশ, মানে ডেনমার্কের এই লেখক তার রূপকথাগুলোর জন্যই অমর হয়ে আছেন। তাই বলে কিন্তু ভেবো না, তিনি অন্য কিছু লেখেননি; তার বিখ্যাত কিছু কবিতাও আছে। তার সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতাটার নাম জেগ এর এন স্ক্যান্ডিনেভ, ইংরেজি করলে হয়- আই এম এ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান।

বসন্তের ফুল, ফুলেল বসন্ত


কৃষ্ণচূড়া [Delonix regia]
কৃষ্ণচূড়া বাংলাদেশের অতি পরিচিত একটি ফুল। চৈত্র-বৈশাখ মাসের প্রচণ্ড গরমে যখন সবাই অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে, তখনই কৃষ্ণচূড়ার ডাল থোকা থোকা লাল লাল ফুলে ভরে ওঠে। শুধু গ্রীষ্মেই নয়, বর্ষায়ও কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে থোকা থোকা উজ্জ্বল গাঢ় লাল- কমলা রঙের ফুল অপূর্ব মোহনীয় রূপে ফোটে। ফুলের জগতে কৃষ্ণচূড়ার মতো এমন উজ্জ্বল রঙের ফুল বেশ দুর্লভই বটে। বর্ষার শেষেও এই গাঢ় লাল- কমলা ফুলের রেশ শেষ হয় না। তবে শীতের হিমেল হাওয়ায় গাছটির পাতাগুলো ঝরে যায়। বসন্তে- গ্রীষ্মে গাছগুলো আবার ভরে ওঠে গাঢ় লালে- কমলায়।

কনফুসিয়াসের গল্প

মানুষের মধ্যে সবচেয়ে যে ভালো মানুষ, তার কী কী গুণ থাকা দরকার, বলো তো? এর উত্তরে কনফুসিয়াস কী বলেছেন জানো? সবচেয়ে ভালো মানুষের থাকতে হবে দুটি গুণ- ‘জেন’ আর ‘ই’; ‘জেন’ মানে হলো অন্যের প্রতি ভালোবাসা। আর ‘ই’ মানে হলো সৎ আচরণ ও ন্যায়পরায়ণতা। যে মানুষটি অন্য সব মানুষকে ভালোবাসে, আর সব কাজে সৎ আর ন্যায়পরায়ণ থাকে, তাকেই তো সবচেয়ে ভালো মানুষ বলা যায়, তাই না?

প্রেমেন্দ্র মিত্রের 'ঘনাদা'

সে ১৯৪৫ সালের কথা। ততোদিনে প্রেমেন্দ্র মিত্রের বেশ নামডাক হয়ে গেছে, কবি হিসেবে, গল্পকার হিসেবেও। ওই একই বছরে পৃথিবীতে একটা বড় ঘটনা ঘটেছিলো। বলতে পারবে? হ্যাঁ, সেই বছরই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়। ১৪ আগস্ট মিত্রশক্তির কাছে জাপান আত্মসমর্পণ করে। মানে, এশিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কার্যত শেষ। তখনো আমরা বৃটিশ সরকারের অধীন। মানে, আমরাও মিত্রশক্তির পক্ষেই ছিলাম। সব মিলিয়ে, ১৪ আগস্ট আমরা এক রকম যুদ্ধে জিতে গেলাম। পরদিন থেকেই বাংলায় আনন্দোৎসব শুরু হয়ে গেল। বর্ষা পেরিয়ে ততোদিনে চলে এসেছে শরৎকাল। কলকাতায় শরৎকাল মানেই পূজোর মাস, দূর্গা পূজার মাস। দেব সাহিত্য কুটির থেকে বের হলো বাংলা ১৩৫২ সালের পূজাবার্ষিকী আলপনা।

Blogger templates

.