
আসুন আমরা সময়েরও মধ্য দিয়ে, ইতিহাসেরও আগে গিয়ে ডাইনোসদের সাথে দেখা করে আসি...
পৃথিবীতে ওদের বিস্তার হয় আজ থেকে প্রায় ২৪০ মিলিয়ন বছর আগে।আর তখনকার সময়কে বলা হয় মেসোজোয়িক যুগ।তবে এটা “ডাইনোসর যুগ” বলেও বেশ পরিচিত। মেসোজোয়িক এরাকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়-
_____________ ট্রায়াসিক
_____________জুরাসিক এবং
______________ ক্রিটেশিয়াস যুগ।
আজ থেকে ২২৫ মিলিয়ন বছর আগের কথা , সেটি ছিল ট্রায়াসিক যুগ,পৃথিবীর সবগুলো মহাদেশ তখন একসাথে জোড়া লাগানো ছিল আর এর নাম ছিল প্যানজিয়া।তখনকার সময় বেঁচে থাকার জন্য খুবই প্রতিকূল ছিল।






জুরাসিক যুগ হচ্ছে সেই সময় যখন এই পৃথিবী তার বুকে সবচেয়ে বড় প্রাণীগুলোর অস্তিত্ব অনুভব করে এবং ডাইনোসররা সেই আদিম পৃথিবীর প্রধান প্রাণীতে পরিনত হয়।সারা পৃথিবী তখন ছিল একটিমাত্র মহাদেশ, আর এই যুগেই এসে তা ভাঙতে শুরু করে, যার পরিসমাপ্তি ঘটে ক্রিটেশিয়াস যুগে এসে। আর যার ফলশ্রুতিতে ডাইনোসররা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ক্রিটেশিয়াস যুগ এ এসে মহাদেশ গুলো আকৃতি নিতে থাকে আর আবহাওয়াও বদলে যেতে থাকে ব্যাপকভাবে।
এ পর্যন্ত ডাইনোসরের আবিষ্কৃত প্রজাতির সংখ্যা প্রায়৫০০ আর ডাইনোসরের বিচরণ ছিল পৃথিবীর প্রতিটি মহাদেশে, এমনকি এন্টার্কটিকায়ও এর অস্তিত্বের প্রমান পাওয়া গেছে।বিভিন্ন ডাইনোসর দের ফসিল এর প্রাপ্তিস্থান আর তারিখ এর লিস্ট আছে এই সাইটটিতে।
Dinolist

Jim Jensen এর সাথে Ultrasaurus Leg নামক ডাইনোসর।



এই উপমহাদেশে প্রাপ্ত ফসিল সমূহ।

সবচেয়ে জনপ্রিয় ডাইনোসর Tyrannosaurus rex

সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত ডাইনোসর Iguanodon.

সবচেয়ে বড় আকারের ডাইনোসর Argentinosaurus hinculensis

সবচেয়ে বৃহৎ মাংসাশী ডাইনোসর Giganotosaurus carolinii

সবচেয়ে ছোট ডাইনোসর Compsognathus longipes

সবচেয়ে চওড়া ডাইনোসর Ankylosaurus magniventris



সবচেয়ে লম্বা গলার অধিকারী ডাইনোসর Mamenchisaurus

সবচেয়ে দ্রুতগামী ডাইনোসর Ornithomiminee


সবচেয়ে চতুর ডাইনোসর Troodontids


সবচেয়ে নির্বোধ ডাইনোসর Stegosaurus




সবচেয়ে বিতর্কিত ডাইনোসর Apatosaurus

সবচেয়ে সুরক্ষিত Ankylosaurus ডাইনোসর
আজ থেকে 65 মিলিয়ন বৎসর আগে এই পৃথিবী থেকে ডাইনোসরের বিলুপ্তি ঘটে।তবে ডাইনোসরের বিলুপ্তির সঠিক কারণ এখনো পুরোপুরিভাবে জানতে পারা যায়নি।লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে আঘাত হানা বিশালকায় ধূমকেতু কিংবা গ্রহাণুখন্ডের কারণে ডাইনোসরের বিলুপ্তি ঘটে থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।
অনেকের মতে উল্কার আঘাতে নয় বরং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এদের বিলুপ্তি ঘটে।
এছাড়াও খাদ্যাভাবও একটি বড় কারণ বলে মনে করা হয়।
তাছাড়া সেসময় পৃথিবীব্যাপী তাপমাত্রার এক ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে যার সাথে অভিযোজিত হতে না পেরে অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয় বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।
কিন্তু অনেক বিজ্ঞানী আবার এসব তত্বকে উড়িয়ে দিয়ে ডাইনোসর দের ডিমের খোসার পুরুত্বকে দায়ী করেন।বিভিন্ন পরীক্ষায় মাধ্যমে দেখা যায় যে, ছয় কোটি বছর আগের ডিমের খোসা ১৪ থেকে ১৫ কোটি বছর আগের ডিমের খোসার চেয়ে অনেক বেশী পুরু ছিল। ফলে ডাইনোসরদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সহ প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেত।কালক্রমে তারা বিলুপ্তির পথে পা বাড়ায় ।
