অদ্ভুত সব প্রযুক্তিপণ্য

প্রযুক্তির অনেক পণ্যই তৈরি হয় মানুষের কাজে সাহায্য করতে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন পর্যন্ত অনেক পণ্যই মানুষের জীবনযাত্রা পাল্টে দিয়েছে। তবে, কিছু পণ্য ঋনেক যত্ন নিয়ে তৈরি করা হলেও শেষ অব্দি একেবারেই হাস্যকর বলে প্রমাণিত হয়। এমন কিছু পণ্য নিয়েই এ ফিচার।


আইপড টয়লেট ডক
আইপড টয়লেট ডক দেখলেই মনে হয়. মানুষের জীবনযাত্রায় সঙ্গীতের সঙ্গে জড়িত ডিভাইসগুলো কতোটা স্থান দখল করেছে। টয়লেট পেপার রাখার স্থানে এটি স্থাপন করে রাখার ব্যবস্থা আছে। এ টয়লেট ডকটি আদতে অ্যাপলের তৈরি আইপড রাখার জন্য একটি ডিভাইস।


যান্ত্রিক মোবাইল ফোন
লেডিস্ক মেকানিকাল সেল ফোনটি দেখতে খুবই সুন্দর। এটি তৈরি করেছে ফ্রেঞ্চ কোম্পানি সেলসিয়াস X-VI-II। এটি দেখতে আধুনিক মোবাইল ফোনগুলোর মতোই। কেবল সমস্যা হলো এ মোবাইল ফোনটির সামনে থাকা ঘড়িটি চালাতে গিয়ারের প্রযোজন হয়।



টোস্ট প্রিন্টার
টোস্ট তৈরির নকশা নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক। কিন্তু এ বিষয়টির তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে, জুসি টোস্ট প্রিন্টার নামের একটি প্রিন্টার টোস্টের ওপর বিভিন্ন নকশা আঁকতে পারে। এটি ১২X১২ পিক্সেল আকারে টোস্টের ওপর ছবি প্রিন্ট করতে পারে।

কম্বিমাউস
কম্পিউটার মাউস হিসেবে এ ডিভাইসটির দেখতে আর দশটা সাধারণ মাউসের মতো নয়। এ মাউসটির বাম দিকে রয়েছে একটি স্টেশনারি কিবোর্ড এবং ডান দিকে নড়াচড়া করানো যায় এমন কিবোর্ড এবং মাউস।

ঘুর্ণনশীল চামচ
যখন তখন বা জীবনে কোনো একবার এমন কোনো ডিভাইসের সামনে পড়তে হয় যা জীবনকে পাল্টে দেয়। সেরকমই একটি ডিভাইস হলো স্প্যাগেটি ফর্ক।

মস্তিষ্কতরঙ্গচালিত হেডফোন
নিউরোস্কাই মাইন্ডসেট নামের এ হেডফোন সাধারণ আর দশটা হেডফোনের মতো নয়। এ ডিভাইসটিতে রয়েছে ‘মেডিকেল গ্রেড ব্রেইনওয়েভ সেন্সর’। এ সেন্সরটি মস্তিষ্কতরঙ্গ পড়তে পারে। এ ছাড়াও ব্যবহারকারির মেজাজ-মর্জি এ হেডফোনটি কম্পিউটার স্ক্রিনে ফুটিয়ে তুলতে পারে। এ হেডফোনটিতে কানের জন্য ‘উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার’ নামে একটি ফিচার রয়েছে।

কুকুরের জন্যও ডিজিটাল ক্যামেরা
কুকুর কি কি করছে সেটি নজর রাখার জন্য তার পেছনে আর ছোটাছুটির প্রয়োজন হবে না। কুকুরের গলায় একটি ডিজিটাল ক্যামেরা বেঁধে দিলেই হলো। পেস্ট আই ভিউ নামের এ ডিজিটাল ক্যামেরাটি প্রতি এক মিনিট, ৫ মিনিট এবং ১৫ মিনিট পরপর ছবি তুলে মালিকের কাছে তা পাঠিয়ে দিতে পারে।

স্বচালিত সুটকেস
সুটকেসে চাকা লাগানোর বিষয়টি অনেক পুরোনো। তবে, নিজেই গড়িয়ে গড়িয়ে যেতে পারে এমন সুটকেসও বেশ মজার। কেবল ছেড়ে দিলেই হলো, এ সুটকেস নিজেই চলতে থাকবে। সুটকেসে লাগানো আছে একটি মোটর। ব্যাটারিতে চলা এ সুটকেসটি ঘন্টায় ৩ কিলোমিটার গতিতে গড়াতে পারে।

নাইন ইলেভেনে মহাশুন্য থেকে তোলা প্রথম ছবি প্রকাশ

নাইন ইলেভেন-এর ট্রাজেডি কেবল পৃথিবীবাসীকেই কষ্ট দেয়নি, এ কষ্ট ছুঁয়ে গিয়েছিলো মহাশুন্যেও। প্রায় এক দশক আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ হামলা করেছিলো সন্ত্রাসীরা। সে হামলায় গুড়িয়ে গিয়েছিলো এ ভবনের দুটি টাওয়ার। আর দৃশ্যটি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকেও প্রত্যক্ষ করতে পেরেছিলেন নভোচারীরা। খবর এমএসএনবিসি-এর।


সেপ্টেম্বর ১১ তারিখে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করছিলেন তিনজন নভোচারী। সেখান থেকে নিউ ইয়র্ক শহরের ছবি তোলেন তারা। তারা দেখতে পেয়েছিলেন, ম্যানহাটন এলাকা থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি ওপরে উঠছে।



২০০১ সালে এ তিনজন নভোচারীর মধ্যে মার্কিন নভোচারী ছিলেন ফ্রাঙ্ক কার্লবাটসন। তিনি এ ধোঁয়ার ওঠা দৃশ্যটির কারণ ঠিক বুঝতে পারেননি। তবে, অস্বাভাবিক এ ঘটনার ছবি তিনি তুলে রেখেছিলেন।

সম্প্রতি নাইন ইলেভেন ঘটনার এক দশক স্মরণে নাসা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সে ভিডিওতে কার্লবাটসন মহাশুন্য থেকে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার বিষয়ে তিনি যা প্রত্যক্ষ করেছিলেন তা বর্ণনা করেছেন।

কার্লবাটসন বলেছেন, ‘ঠিক কি হচ্ছিল আমি বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি প্রমাদ গুণছিলাম। আমার কাছে ভালো কিছু হচ্ছিলো বলে মনে হয় নি। ম্যানহাটনের আকাশ ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে ঢেকে যাচ্ছিল। নিজেকে বড়োই একাকী মনে হচ্ছিলো আর খুব কষ্টও পাচ্ছিলাম।’

মাদারবোর্ডে লুকানো নতুন ট্রোজানের সন্ধান

সম্প্রতি কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিমানটেক-এর বিশেষজ্ঞরা কম্পিউটারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নতুন একটি ট্রোজানের খোঁজ পেয়েছেন। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন খোঁজ পাওয়া ট্রোজানটি বাসা বাঁধে বায়োসে। রুটকিট শ্রেণীর এ ম্যালওয়্যারটি চিহ্নিত করা এবং একবার আক্রমণ করলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কঠিন। খবর এমএসএনবিসি-এর।

সিমানটেক-এর বিশেষজ্ঞরা এ ট্রোজানটির নাম দিয়েছেন ট্রোজান ডট মেবরোমি (ঞৎড়লধহ.গবনৎড়সর)। এ ম্যালওয়্যারটি সাধারণত কোনো ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত কম্পিউটার ফাইল থেকে কম্পিউটারে স্থানান্তরিত হতে পারে। এটি বায়োস যাবার পর নিজেই বায়োসের মাস্টার বুট রেকর্ড-এ (এমবিআর) লোড হয় এবং অপারেটিং সিস্টেমের দখল নিতে শুরু করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেবরোমি ট্রোজানটিকে যদি মানুষের শরীরের জন্য কোনো ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করা হয়, সেক্ষেত্রে এটি সরাসরি রক্তপ্রবাহে কোনো সমস্যা করবে না। এটি প্রথমে হার্টে যাবে তারপর সেখান থেকে পুরো দেহের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করবে।

সিমানটেক বিশেষজ্ঞরা আরো বলেছেন, এটি যেহেতু বায়োসে লুকিয়ে থাকে, তাই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার একে সহজে খুঁজে বের করতে পারে না। তা ছাড়াও মেবরোমিকে সরাতে হলে মাদারবোর্ডের ক্ষতি হবার শংকাও থাকে। এ ট্রোজানটিকে সরানো হলেও আবারও কম্পিউটার পরবর্তীতে চালুর সময় এর কোড ফের চালু হয়ে যায়।

কম্পিউটার ভাইরাসমুক্ত রাখতে ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

গুগল এখন টিনএজার!

সার্চ জায়ান্ট গুগল এখন নিজেকে টিনএজার হিসেবে দাবি করতেই পারে। ২৭ সেপ্টেম্বর ১৩ তম জন্মদিন পালিত হচ্ছে গুগলের। গুগল কর্তৃপক্ষ জন্মদিনের ডুডল বানিয়ে উদযাপন করছে ১৩ তম জন্মদিন। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এর।

গুগল ডুডলে গুগলের লোগোটিকে জন্মদিনের পোশাক পরিয়ে কেক, উপহার আর বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। এ ডুডলে ক্লিক করলে গুগল পেজে নিয়ে যাচ্ছে।



১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন মাত্র চারটি কম্পিউটার ব্যবহার করে তৈরি করেছিলেন গুগল সার্চ ইঞ্জিন। তাদের বিশ্বাস ছিলো, গুগল একদিন পুরো পৃথিবীকে পাল্টে দিতে সক্ষম হবে।

এর আগে একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর কর্পোরেশন হিসেবে গুগলের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। ১৫ সেপ্টেম্বর গুগল ডট কম নামে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিলো এবং ২৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে জন্ম নিয়েছিলো বর্তমানের সার্চ জায়ান্ট গুগল।

১৩ তম জন্মদিনে গুগলের সামনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়

মাইক্রোসফটের পরামর্শ এক্সপি থেকে সেভেনে

উইন্ডোজ ৮-এর জন্য প্রতীক্ষায় না থেকে উইন্ডোজভিত্তিক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এখনই উইন্ডোজ ৭-এ আপগ্রেড করে নেবার পরামর্শ দিয়েছে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালের পর থেকে এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম আর সমর্থন করবে না তাই এক্সপিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এখনই উইন্ডোজ সেভেন অপারেটিং সিস্টেমে চলে যাওয়া উচিৎ।

মাইক্রোসফট যুক্তি দিয়েছে, ২০১৪ সাল আসতে এখনো দেরি থাকলেও ব্যবসা পরিবর্তন করতে এবং মানিয়ে নেয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন হবে।



এক্সপি বন্ধ করে দেবার অর্থ হচ্ছে এক্সপি অপারেটিং সিস্টেমের জন্য মাইক্রোসফট কোনো আপডেট বা নিরাপত্তা দেবে না। ফলে ভাইরাসের জন্য কোনো প্যাচবিহীন অপারেটিং সিস্টেম একটি আদর্শ ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়াবে।

এদিকে, ২০১২ সাল নাগাদ উইন্ডোজ ৮ বাজারে আসবে বলেও ঘোষণা দিয়ে রেখেছে মাইক্রোসফট। কিন্তু এ সংস্করণটির জন্য অপেক্ষা না করেই ১০ বছর পুরোনো এক্সপি অপারেটিং প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে উইন্ডোজ ৭ এ পরিবর্তন করে নিতে মাইক্রোসফটের প্রকৌশলীরা পরামর্শ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, উইন্ডোজ ৮ আসার আগে উইন্ডোজ ৭ সংস্করণটি আরো উন্নত করতে চাইছে মাইক্রোসফট।

ফেসবুকনির্ভর সাইটগুলো

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট ফেসবুকনির্ভর অনেক সাইট তৈরি করছেন ওয়েব ডেভেলপাররা। ওয়েব প্রোগ্রাম,অ্যাপ্লিকেশন,গেমস ছাড়াও ফেসবুকের আইডিয়ানির্ভর অনেক সাইটের দেখা মেলে ইন্টারনেটে। ফেসবুক ব্যবহারকে আরো সহজ এবং মজাদার করতেই এসব ওয়েবসাইটগুলো তৈরি হয়। যদিও এসব ওয়েবসাইটের কোনোটাই ফেসবুকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়  তবুও ফেসবুক পুঁজি করেই এগুলো তরতর করে এগিয়ে চলেছে। এমনকি কিছু সাইট আবার ফেসবুকের নামও নিজের সঙ্গে জুড়ে নিয়েছে।

 
Howdoifacebook.com
নতুন ফেসবুক ব্যবহারকারীর জন্যই এ সাইটটি। ফেসবুক বিষয়ে মনে যতো প্রশ্ন ওঠে তার তাবৎ উত্তর রয়েছে সাইটটিতে। ফেসবুক বিষয়ক সমস্যার সমাধান নিয়েই তৈরি করা হয়েছে

www.howdoifacebook.com সাইটটি। ফেসবুকের নিজস্ব সমস্যার সমাধান নিয়ে HELP সেকশন থাকলেও এ সাইটে সবকিছু খুব সহজভাবে ব্যাখা করা হয়েছে। ফেসবুকে ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দের অর্থ ও এর ব্যবহার, ফেসবুক বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর সাইটটিতে পাওয়া যাবে।

Reface.me
কেবল ফেসবুকনির্ভর একটি ব্লগ হলো www.reface.me। ফেসবুক স্ট্যাটাস আপডেট, প্রোফাইল, ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ,ফটো-ভিডিও, গেমস, অ্যাপ্লিকেশন, ফেসবুকোলজি ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে সাজানো হয়েছে ব্লগটিকে। এতে রয়েছে ফেসবুক ব্যবহারের গাইডলাইন এবং ফেসবুক সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস সুবিধাও।

Facebookcraze.com
ফেসবুক নিয়ে আরেকটি সুন্দর ব্লগ হলো www.facebookcraze.com। ফেসবুকের মজার স্ট্যাটাস আপডেট, ফেসবুক বন্ধুদের ট্যাগ করার জন্য মজার মজার ফটো ইফেক্ট এবং বিভিন্ন ফেসবুক গেমসের রিভিউ নিয়ে সাজানো হয়েছে সাইটটিকে। প্রায় একই ধরনের আরেকটি ব্লগ www.facebookflow.com। এখানেও ফেসবুকের বিভিন্ন খবরা-খবর, বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন, গেমস ও পেজের রিভিউ ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য মিলবে।

Allfacebook.com
ফেসবুককে নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী একটি ওয়েবসাইট www.allfacebook.com। ফেসবুকের সর্বশেষ খবরাখবর, ফেসবুক পেজগুলোর মধ্যে কোনগুলোর অবস্থান সবার ওপরে, সপ্তাহের সেরা ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন ও গেমসের তালিকা ইত্যাদি নিয়ে  সাজানো হয়েছে ওয়েবসাইটটি।

Facemoods.com
স্মাইলি, ইমোটিকনস, অ্যানিমেশন যারা ফেসবুক স্ট্যাটাস, চ্যাট বা ওয়ালে এসব যুক্ত করতে চান তাদের জন্য www.facemoods.com  । সাইটটি থেকে স্মাইলি কিংবা ইমোটিকনস ব্যবহারের ছোট্ট সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে পিসি বা ল্যাপটপে ইনস্টল করলেই কাজ হবে।

Facebookvideodown.com
ফেসবুক ভিডিও ডাউনলোড করার কাজ করে www.facebookvideodown.com   সাইটটি। পিসিতে কোনো সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার ছাড়াই সহজেই ডাউনলোডের কাজটি করা যায় সাইটটি থেকে।

Privacydefender.net
ফেসবুকে প্রাইভেসি সেটিং সমাধান দিতেই আছে www.privacydefender.net   সাইটটি। এ সাইটের একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে সহজেই ফেসবুকের প্রাইভেসি সেট করা যায়।

Insidefacebook.com
ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার, প্রোগ্রামার এবং মার্কেটারসদের জন্য ওয়েবসাইটটির নাম Insidefacebook.com

তৈরি হচ্ছে 'নোনা' হার্ডডিস্ক

লবণ বা নুনের আছে ঢের গুণ। খাবারের স্বাদ থেকে শুরু করে লবণের অনেক গুণের খোঁজই অনেকের কাছে রয়েছে। তবে গবেষকরা সম্প্রতি নুনের আরো নতুন একটি গুণের সন্ধান পেয়েছেন। সিঙ্গাপুরের গবেষকরা বলছেন, সাধারণ লবণ ব্যবহারে কম্পিউটার হার্ডডিস্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা ৬ গুণ পর্যন্ত বাড়নো সম্ভব। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইন-এর।



ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর এবং ডেটা স্টোরেজ ইনস্টিটিউট লবণ ব্যবহার করে হার্ডডিস্কে বেশি পরিমাণ ডেটা ধরে রাখার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। গবেষকদের দাবি, নতুন পদ্ধতিতে বিভিন্ন কোম্পানির বা ব্যক্তিগত পর্যায়ে ডেটা সংরক্ষণে লবণ কাজে আসবে।

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর-এর বিবৃতিতে জানা গেছে, ‘নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে হার্ডডিস্কের প্রতি বর্গইঞ্চিতে ৩.৩ টেরাবিট পর্যন্ত ডেটা রেকর্ডিং ঘনত্ব বাড়ে যা বর্তমান বাজারে থাকা  হার্ডডিস্কের তুলনায় ৬ গুণ বেশি।’

গবেষক ড. জোল ইয়াং জানিয়েছেন, হার্ডডিস্ক তৈরিতে সোডিয়াম ক্লোরাইড জুড়ে দিলে তথ্য রেকর্ডিংয়ে বিট ইউনিটের প্যাটার্ন পরিবর্তিত হয়। প্রতিটি ম্যাগনেটিক ডিস্ক আরো বেশি পরিছন্ন হয় এবং বিটের ঘনত্ব বেড়ে যায়। বিট ‘প্রিন্ট’ করতে যে ইলেকট্রনিক বিম প্রয়োজন হয় লবণ তার রেজ্যুলিউশন বাড়িয়ে দেয়; ফলে সবচেয়ে ভালো মানের কনট্রাস্ট পাওয়া যায়। এ ছাড়াও লাইন প্যাটার্নও হয় অনেক ঘন।’

এদিকে এই লবণ মেশানো  বা ‘নোনা’ হার্ডডিস্ক ২০১৬ সাল নাগাদ বাজারে আসবে বলেই জানিয়েছেন গবেষক ড. ইয়াং।

অ্যান্ড্রয়েড ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন স্টিভ জবস

অ্যাপলের প্রয়াত সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি মনে করতেন, এটি অ্যাপলের আইওএস অপারেটিং সিস্টেম থেকে চুরি করা।



জবস বলেছিলেন, তিনি অ্যান্ড্রয়েডকে নিশ্চিহ্ন করতে চান এবং তাতে প্রয়োজন হলে অ্যাপলের সব অর্থ এবং তার জীবনের শেষ নিঃশ্বাসটিও তিনি ব্যয় করবেন। গুগলের অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি তার এ ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে তার বায়োগ্রাফি ‘স্টিভ জবস’-এ।
স্টিভ জবসের বায়োগ্রাফি লিখেছেন ওয়াল্টার আইজ্যাকসন। ওয়াল্টারকে তিনি বলেছেন, ‘আমি অ্যান্ড্রয়েডের সঙ্গে আইওএস-এর যে মিল দেখি তা স্রেফ ‘চুরি।’ আর তাই আমি চুরি করা এ পণ্যটিকে ধ্বংস করতে যাচ্ছি। আমি এর জন্য প্রয়োজনে থার্মোনিউক্লিয়ার যুদ্ধও করবো।’

স্টিভ জবস এবং গুগলের মধ্যে শুরুতে ভালো সম্পর্কই ছিলো। কিন্তু ২০০৭ সালে গুগল অ্যান্ড্রয়েড আনার পর সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। অবশ্য এ সময় গুগলের বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাপল বোর্ডে ছিলেন। ২০০৯ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত অ্যাপল বোর্ড মেম্বার এবং গুগলের সিওও হয়ে কাজ করেছেন এরিক স্মিড।’

এরিক স্মিড অবশ্য বলেছেন, ‘আমি অ্যাপল বোর্ডে ততোদিনই ছিলাম যতোদিন পর্যন্ত থাকা সম্ভব ছিলো।’

আসছে গ্র্যান্ড থেফট অটো ভি-এর ৫ম সংস্করণ

গেম নির্মাতা রকস্টার তাদের জনপ্রিয় গেম গ্রান্ড থেফট অটো ভি-এর পঞ্চম সংস্করণের ট্রেলার উন্মুক্ত করেছে। নতুন গেমটিতে শহর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসকে। খবর বিবিসি অনলাইন-এর।

গেমটির নতুন ট্রেলার মাত্রই ১ মিনিটের। তাতেই মুখোশধারী গানমেন, কার চেজ, গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো এবং নারীসঙ্গীর বিভিন্ন দৃশ্য দেখানো হয়েছে।



গ্রান্ড থেফট অটো ভি-এর চতুর্থ সংস্করণটি কেবল যুক্তরাজ্যেই ৯ লাখ ২৬ হাজার কপি বিক্রি হয়েছিলো। গেমটিতে অতিরিক্ত সংঘর্ষ দৃশ্য থাকায় সমালোচনাও কুড়িয়েছে গেম বোদ্ধাদের।

শক্তিশালী ক্রিমিনাল আর স্নায়ুক্ষয়ী সংঘর্ষে গেম হিসেবে গ্রান্ড থেফট অটো ভি এবারও জনপ্রিয়তা পাবে বলেই গেমবোদ্ধারা মন্তব্য করেছেন । এখন কেবল ট্রেলার ছাড়লেও নতুন সংস্করণটি কবে নাগাদ মুক্তি পাবে সে বিষয়ে মুখ খোলেনি রকস্টার কর্তৃপক্ষ।

নতুন গেম বাজারে আসছে এমন গুজব আগেই ছড়িয়েছিলো। নতুন গেম উপলক্ষে গেমিং হার্ডওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সনি এবং মাইক্রোসফটের নতুন ডিভাইসেরও গুজব ছড়িয়েছিলো। কিন্তু গেমিং ডিভাইসের কোনো তথ্য না প্রকাশ পেলেও নতুন ট্রেলার উন্মুক্ত করে রকস্টার কর্তৃপক্ষ গ্র্যান্ড থেফট অটো ভি-এর পঞ্চম সংস্করণের তথ্য জানিয়েছে।

পুরোনো গেমিং ডিভাইস ব্যবহার করেও গেমটি খেলা যাবে বলে গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে।

ইন্টারনেটের ওজন ১ ছটাকেরও কম

সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন ইন্টারনেটের মোট ওজন বড়জোর ৫০ গ্রাম যা বড়োজোর একটি স্ট্রবেরির সমান হতে পারে। ইউটিউবের সায়েন্স শো ভিসস- এ তথ্য জানিয়েছে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এর।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা জানিয়েছেন, ডাউনলোড করা ই-বুকেরও ওজন আছে। ই-রিডারে বই ডাউনলোড করা হলে ক্রমশ সে রিডারের ভর বাড়তে থাকে। এ পদ্ধতি ব্যবহার করেই গবেষকরা মোট ইন্টারনেটের ওজন হিসেব করেছেন। আইনস্টাইনের E=mc²  সূত্র প্রয়োগ করে দেখেছেন মোট ইন্টারনেটের ওজন স্রেফ একটি স্ট্রবেরির সমান।



৭৫ থেকে ১০০ মিলিয়ন সার্ভারে জমা হওয়া ইলেকট্রনের ওজন হতে পারে মাত্রই ৫০ গ্রাম। এ ওজনের সঙ্গে যদি কম্পিউটারে ব্যবহৃত ইন্টারনেটের তথ্য যোগ করা হয় তবে ওজন বেড়ে বড়জোর ৩টি স্ট্রবেরির সমান হতে পারে বলেই গবেষকদের মত।

গুগলের সাবেক সিইও এরিক স্মিডের দেয়া তথ্যমতে পৃথিবীতে মোট ৫০ লাখ টেরাবাইট তথ্য জমা রয়েছে যার মধ্যে গুগলের রয়েছে ০.০৪ শতাংশ। স্মিডের এ তথ্যকে হিসেব ধরে ইন্টারনেটের ওজন হিসেবে করেছে ভিসস।

ভিসস ০.০২ মিলিয়নকে এক আউন্স ধরে এ হিসেব করেছে। বৃটিশ এককে এক ছটাক হলো ৫৮.৩১ গ্রাম।

স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট: ক্রমশ কাছাকাছি

পর্দার মাপ বেড়ে গেলে সেটি কি আর মোবাইল বলা যায়? গার্টনারের বিশ্লেষক কেন ডুলানি অন্তত বড়ো আকারের স্মার্টফোনগুলোকে মোবাইল মানতে নারাজ। কারণ বাজারে তো প্রায় সমান আকারের ট্যাবলেট রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্যাবলেট বা স্মার্টফোন নির্ধারণ করতে যুক্তিসঙ্গত পথে যেতে হবে। আর তা হচ্ছে পকেটের মাপ। সবচেয়ে যে প্রশ্নটা প্রধান হয়ে দাঁড়াচ্ছে তা হলো, কোন আকারের ডিভাইস পকেটে রাখা যাবে? আর  কোনটাই বা সর্বন্মি সীমা? স্মার্টফোন নাকি ট্যাবলেট এ বিতর্ক নিয়েই এবারের মেইনবোর্ড।

যারা প্রযুক্তির খবর রাখেন তারা একটা বিষয় নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, বর্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে। আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ট্যাবলেট স্ক্রিনের আকার ছোটো হয়ে আসছে। একই সঙ্গে বড়ো হচ্ছে স্মার্টফোনের স্ক্রিনের মাপ। প্রযুক্তিবিশ্লেষকরা বলছেন, ‘মানুষ এখন একটা ডিভাইসের মধ্যেই ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোন উভয় সুবিধা চাইছে। আর এ বিষয়টিই এখন ডিভাইস নির্মাতাদের মস্তিষ্কে গেঁথে গেছে। তারাও ভোক্তাদের পছন্দানুয়ায়ী মাপের ডিভাইস তৈরির দিকে ঝুঁকছেন।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১২ সাল হবে ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোনের বছর। কারণ এ বছরটির দিকেই চেয়ে রয়েছে খ্যাতনামা প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো। অ্যাপল, গুগল, স্যামসাং, ফেসবুক, নকিয়া, এসার, অ্যামাজন, লেনোভো, আসুস থেকে শুরু করে অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানই ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বাজার ধরতে বিভিন্ন মাপের ডিভাইস তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। দেখা গেছে, প্রায় ক্ষেত্রেই বড় আকারের স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের ক্ষেত্রে ছোটো আকারের ট্যাবলেটের দিকে ঝুঁকেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।


অ্যাপলের আইওএস, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এবং গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর স্মার্টফোন বাজারে রয়েছে। ২০১২ সালে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে এলে উইন্ডোজনির্ভর স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট তৈরির ঘোষণা দিয়ে রেখেছে  অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়াও অ্যান্ড্রয়েডও বাজার দখল করেছে শতকরা ৫০ ভাগ। আইফোনের বাজারও রমরমা। এই তিন জায়ান্টের তৈরি অপারেটিং সিস্টেমেই স্মার্টফোন নাকি ট্যাবলেট বাজারে থাকবে নাকি এ দুইয়ের মাঝামঝি কোনো ডিভাইস বাজার দখল করবে তা নিয়ে বিশ্লেষকরা রীতিমত গলদঘর্ম।

স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট বাজারে সবচেয়ে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটিয়েছে অ্যাপল। আইফোনের জনপ্রিয়তা স্মার্টফোন বাজারে অ্যাপলকে নতুন সংস্করণ আনতে উদ্বুদ্ধ করে। এ ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাজারে এসেছে আইফোন ৪ এস। নতুন সফটওয়্যার এবং বিভিন্ন ফিচারের আপডেটসহ এ স্মার্টফোনটি বাজারে সাড়া জাগিয়েছে। তবে, আইফোন ৪ এস-এর চেয়েও আলোচনা বেশি হয়েছে অ্যাপলের আইফোন ৫ নিয়ে। বছরজুড়েই বিভিন্ন প্রযুক্তি সাইটে আইফোন ৫ ঘিরে ছিলো গুজবের ছড়াছড়ি। অ্যাপল কর্তৃপক্ষ মুখ না খুললেও বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে প্রযুক্তিবিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী বছরই এ স্মার্টফোনটি বাজারে আসবে। আর এ ফোনটির সবচেয়ে পরিবর্তন চোখে পড়বে তা এর স্ক্রিনের মাপে। বর্তমান মাপের চেয়ে আরো বড়ো হবে আইফোনের পরবর্তী সংস্করণ। অ্যাপলের আইপ্যাডকে ট্যাবলেট দুনিয়ার স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়। আইপ্যাডের জনপ্রিয়তা ট্যাবলেট বাজার উন্মুক্ত করেছে। ১০.১ ইঞ্চি মাপের নীচে কোনো ট্যাবলেট কম্পিউটার ভালোমানের প্রযুক্তি হবে না এমন ভবিষ্যৎদ্বাণী করেছিলেন অ্যাপলের প্রয়াত সিইও স্টিভ জবস। তিনি না চাইলেও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ট্যাবলেটের মাপে পরিবর্তন আনছে দ্রুত। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়েছে স্যামসাং। স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের ডিভাইসগুলো ক্রেতাদের পছন্দানুয়ায়ী করতে মাপের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন এনেছে স্যামসাং। ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোনের পার্থক্য তারা প্রায় ঘুচিয়ে ফেলেছে। ২০১২ সাল নাগাদ স্যামসাং এ মাপে আরো পরিবর্তন আনতে পারে। ফিনিশ মোবাইল জায়ান্ট নকিয়াও পিছিয়ে নেই। নকিয়া কর্তৃপক্ষ উইন্ডোজনির্ভর স্মার্টফোনের পাশাপাশি ট্যাবলেট বাজারে আনার কথাও জানিয়েছে। নকিয়ার এসব ডিভাইসগুলোর মাপেও থাকছে বৈচিত্র্য।
বর্তমানে সাড়া ফেলেছে অ্যামাজনের তৈরি কিন্ডল ফায়ার নামের ৭ ইঞ্চি মাপের একটি ট্যাবলেট। এ ছাড়াও নতুন সংস্করণের ৮.৯ ইঞ্চি মাপের একটি ট্যাবলেট বাজারে আনার খবরও রয়েছে। বাজারে এখন ১০.১ এবং ৯.৭ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটের আধিক্য থাকায় নতুন মাপের ট্যাবলেট তৈরির দিকে ঝুঁকছে ট্যাবলেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

বার্লিনে অনুষ্ঠিত আইএফএ কনজিউমার ইলেকট্রনিক শো‘র পর থেকেই ডিভাইসের মাপে এ পার্থক্য শুরু হয়েছে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টু, স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট, এইচটিসি উইন্ডোজ ফোন ৭ বা টাইটান-এ স্ক্রিনের মাপ ৪.৫ ইঞ্চি এবং ৫.৫ ইঞ্চি। এছাড়াও সনি তাদের ‘ট্যাবলেট পি’তে ৫.৫ ইঞ্চি মাপের দুটি স্ক্রিন জুড়ে আরো বৈচিত্র্য যোগ করেছে।
পরিবর্তনের শুরু:
২০১১ সালের শুরুতেই সিইএস মেলায় নতুন আকারের স্মার্টফোনের ঘোষণা এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪.৫ ইঞ্চি মাপের স্যামসাং ইনফিউজ। এ ছাড়াও রয়েছে ৪.৩ ইঞ্চি মাপের  মটোরোলা ফোটন ৪জি, মটোরোলা ড্রয়েড বায়োনিক। এ ছাড়াও ৫ ইঞ্চি মাপের ডেল স্ট্রেক ফোনটিও চোখে পড়ার মতো।

বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এনপিডি গ্রুপের একটি তথ্যে দেখা গেছে, ৪ ইঞ্চি বা তার চেয়েও বড় মাপের স্মার্টফোন বিক্রি বেড়ে গেছে। ২০১০ সালে ৪ ইঞ্চি বা তার চেয়ে বড়ো মাপের স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে ২৪ শতাংশ। এ ছাড়াও ৩.৪ ইঞ্চি বা তার চেয়ে ছোটো মাপের স্ক্রিনের মোবাইল বিক্রি কমে গেছে। এটি ৬৩ ভাগ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ ভাগে।

ইন্ড্রাস্ট্রি অ্যানালিস্ট এনপিডি’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রস রুবিন জানিয়েছেন, বড়ো স্ক্রিনের মোবাইল বিক্রি বেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে ওয়েব কন্টেন্ট এবং ভিডিও দেখা বেড়ে যাওয়া। বড়ো পর্দায় মিডিয়া ভালো দেখা যায় এবং অনস্ক্রিন কিবোর্ড ব্যবহার করা যায়।
বিশ্লেষকদের মত:
স্ক্রিনের মাপ বেড়ে গেলে সেটি কি আর মোবাইল বলা যায়? গার্টনারের বিশ্লেষক কেন ডুলানি অন্তত বড়ো আকারের স্মার্টফোনগুলোকে মোবাইল মানতে নারাজ। কারণ বাজারে তো প্রায় সমান আকারের ট্যাবলেট রয়েছেই।

কেন ডুলানি‘র মতে, ‘স্মার্টফোনের সব্বোর্চ মাপ হতে পারে ৪.২ ইঞ্চি আর ট্যাবলেটের সর্বনিন্ম মাপও এটাই। তাই ৪.৫ ইঞ্চি মাপের ডিভাইসগুলো আমার মতে ছোটো ট্যাবলেট।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্যাবলেট বা স্মার্টফোন নির্ধারণ করতে যুক্তিসঙ্গত পথে যেতে হবে। আর তা হচ্ছে পকেটের মাপ। সবচেয়ে যে প্রশ্নটা প্রধান হয়ে দাঁড়াচ্ছে তা হলো, কোন আকারের ডিভাইস পকেটে রাখা যাবে? আর কোনটাই বা সর্বন্মি সীমা?

রস রুবিন এ প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ডিভাইসটির স্ক্রিনের মাপ ৫.৩ ইঞ্চি। এ ডিভাইসটির ক্ষেত্রে স্যামসাং-এর দাবী এটাই পকেটে ঠিকমতো রাখা যাবে এবং এটাই সব্বোর্চ সীমা। আর আমার মনে হয় এটা একটা ট্যাবলেট, এটা কিছুতেই মোবাইল নয়।’
বাজারে এখন স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের ছড়াছড়ি। বেড়ে গেছে প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং গ্রাহকের মন কাড়তে আকারে পরিবর্তন জরুরী। আর তাই বড়ো আকারের স্মার্টফোন তৈরির দিকেই এখন ঝুঁকছে নির্মাতারা যাতে ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোনের পার্থক্য ঘুঁচে যায়।

সিএসএস ইনসাইট-এর বিশেষজ্ঞ জিওফ ব্ল্যাবার জানিয়েছেন, বর্তমানে বাজারে  কোনো স্মার্টফোন কিনতে গেলে ক্রেতাদের কাছে ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোনের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বাজারে স্মার্টফোনের আকারের পরিবর্তন ডিভাইসগুলোর মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে। মোবাইলের স্ক্রিন কেবল বড়ো হচ্ছে তাই নয় বরং আরো শার্প হচ্ছে। সুপার অ্যামোলিড প্রযুক্তি বা এইচডি প্রযুক্তি যোগ হচ্ছে। অচিরেই মোবাইলের ৫ ইঞ্চি পর্দায় ১২৮০ দ্ধ ৭২০ পিক্সেলের রেজুলিউশন পাওয়া যাচ্ছে।
স্মার্টফোন নাকি ট্যাবলেট?
পিউ ইন্টারনেট নামের একটি জরিপ প্রতিষ্ঠানের ফল বলছে, ৭২ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী একঘেঁয়েমিতে ভুগলে বিনোদন হিসেবে মোবাইল ব্যবহার করে। ৬৪ শতাংশ মোবাইলে গেম খেলে, ৫৪ শতাংশ মোবাইলে ভিডিও দেখে। আর স্মার্টফোনের আকার বড়ো হবার কারণেই মোবাইল নির্ভরতা বেড়েছে। পিউ এর ফল বলছে, শতকরা শতভাগই মোবাইল ব্যবহার করে মেসেজ পাঠান এবং ৭৪ শতাংশ মেইল পাঠাতেও মোবাইল ব্যবহার করেন। কিন্তু বড়ো আকারের স্মার্টফোনে সমস্যা দেখা দেয় কল আদান প্রদানের ক্ষেত্রে। আকার বড়ো হবার কারণে কথা বলতে বা শুনতে সমস্যা হয়। ডিসপ্লে বড়ো মানের ব্যাটারির সমস্যা। বেশি চার্জ লাগে। এ ছাড়াও বহন করতে জায়গা লাগে বেশি। প্রয়োজন পড়ে ব্লুটুথ ডিভাইসেরও।

তবে, ডিভাইসগুলোর পরিচিতি বিশালাকার স্মার্টফোন নাকি পকেটে মানানসই ট্যাবলেট হিসেবে বিবেচনা করা হবে সেটির ভার ব্যবহারকারীর ওপর ছেড়ে দিচ্ছে নির্মাতারা। আগামী প্রজন্মের বিভিন্ন প্রযুক্তি, অপারেটিং সিস্টেম এবং হার্ডওয়্যার দিয়ে তৈরি এসব ডিভাইসগুলোর দামও চলে আসছে হাতের নাগালেই। ১০.১ ইঞ্চি মাপের  ট্যাবলেট নাকি ৩.৪ ইঞ্চি মাপের মোবাইল নাকি ৫ ইঞ্চির কাছাকাছি উভয় ডিভাইস হিসেবেই কাজ করবে এমন স্মার্টফোন? বেছে নিতে হবে ক্রেতাকেই। আর ২০১২ সালে এমন ডিভাইসই বাজারে আসবে বেশি।

জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস)কি? কেন?

বর্তমান সময়ে বহুল ব্যবহৃত একটি সফটওয়ার। অনেকে আবার একটিকে ম্যাপিং এর ( ম্যাপ তৈরির সফটওয়ার মনে করেন। তবে এটি শুধু ম্যাপ তৈরি করার সফটওয়ার নয়। এর মাধ্যমে ভুপৃষ্টের ও ভূঅভ্যন্তরের সবকিছুর তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ, এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ম্যাপ কিংবা রিপোর্ট তৈরি করা যায় অতি সহজেই। সময়ের সাথে সাথে এই সফটওয়ারটিরব্যবহার ও বেড়েছে।

জিআইএস এর একটি সফটওয়ার ব্যবহার করে ৩ডি চিত্র
প্রত্যেটি মাস্টার প্লানের ( শহর পরিকল্পনা) কাজের ক্ষেত্রে জিআইএস একটি অপরিহার্য সফটওয়ার, যেমন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করা তেমনি। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা একবার মূল তথ্যভান্ডার তৈরি হয়ে গেলে এটিকেই অল্পসময়ে আর অল্প খরচেই আপডেট করা যায়।
এর মধ্যে ভূপৃষ্টের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান, রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, আর্কিওলজি, পরিবেশগত ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট, আরবান প্ল্যানিং, কার্টোগ্রাফি, ক্রিমিনোলজি, ভৌগোলিক ইতিহাস, মার্কেটিং, লজিস্টিকস, জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা, তথ্য ব্যবস্থাপনা, প্রতিরক্ষা  ইত্যাদি অন্যতম।
জিআইএস ব্যবহারের ক্ষেত্রঃ প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা,নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা,বনায়ন পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা, কৃষি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন,পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রাকৃতিক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা,সেচ ব্যবস্থাপনা,সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং,প্রকল্পের স্থান নির্বাচন,ভূতাত্ত্বিক জরিপ,জনসংখ্যা জরিপ সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা,শিল্পায়ন, টেলিযোগাযোগ,ভূমি ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা,ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা,গ্রামীন উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা,প্রতিরক্ষা ও সামরিক ব্যবস্থাপনা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রসারণ,স্বাস্থ্য ইত্যাদি।
১৯৬৪ সালে কানাডায় প্রথম গড়ে হয়েছিল জিআইএস এর সূচনা। এর পর প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, দক্ষ জনবল ইত্যাদির অভাবে এই প্রযুক্তির প্রসার অনেকদিন ধীর গতিতে ছিল। কিন্তু নব্বই দশকে উন্নতমানের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যারসহ অন্যান্য ডিভাইসের সহজ লভ্যতা, একাডেমিক পর্যায়ে এর  ব্যপক গবেষণা এসব কারনে জিআইএস এর বিস্তৃতি হয় সারা বিশ্ব  জুড়ে। বর্তমানে বাংলাদেশেও এর ব্যবহার জনপ্রিয় হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান জিআইএস নিয়মিত ব্যবহার করছে।
নতুন শতাব্দীতে বিজ্ঞান, মানবিক উন্নয়ন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতা, প্রয়োগ, প্রসার ঘটে ব সর্বজনীন হারে, বিশ্বগ্রামে পরিণত হবে এ বিশ্ববলয়।  সে নিরিক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা, প্রয়োগ ও  প্রসার এখন সময়ের দাবী।     সম্পদ আহরণ, উন্নয়ন ও সংরক্ষণে, পরিকল্পনার মূল ভিত্তি হওয়া দরকার সুদূর প্রসারী, সাশ্রয়ী ও টেকসই। সুদূর প্রসারী, সাশ্রয়ী ও টেকসই  উন্নয়নের পরিকল্পনা প্রণয়ণের ক্ষেত্রে জিআইএস হতে পারে একটি নির্ভরযোগ্য সফল হাতিয়ার ও কৌশল।   নগরায়ণ ও উন্নয়নের সাথে বৃদ্ধি পায় কিছু সমস্যা, যেমনঃ   ট্রাফিক জ্যাম, সন্ত্রাস,  দারিদ্র, পরিবেশ দূষণ ও পরিবেশ ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি। এসকল সমস্যা মোকাবেলায় জিআইএস বেশ কার্যকর।
জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিষ্টেম ১৯৬০ সালের শেষের দিকে পরিচিতি লাভ করলেও কম্পিউটারের উচ্চমূল্য, সফটওয়্যারের স্বল্পতার কারনে গুটি কয়েক দেশে এর বিস্তার সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯৮০ সালের প্রথম থেকেই জিআইএস এর ব্যবহার নগর ও গ্রামীন পরিকল্পনা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারী পর্যায়ে অষ্ট্রেলিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় শুরু হয়।
বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। বর্তমানে দেশে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে বিভিন্ন  প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে বিশ্ব বিদ্যালয়,এলজিইডি, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী শহর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ইত্যাদি এবং আধাসরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের গুলোর মধ্যে সিইজিআইএস(CEGIS),আইডব্লউএম(IWM,জিএসআরসি (GSRC) বিভিন্ন দেশী বিদেশী এনজিও, দাতা সংস্থা, বহুজাতিক কোম্পানী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
আরও বিস্তারিত জানতে
http://www.esri.com/

লাল গ্রহের রহস্য জানতে উড়ে গেল ‘কৌতূহল’

মঙ্গলের মাটি

সাড়ে আটমাস ধরে ৩৫৪ মিলিয়ন মাইল পথ পেরিয়ে লাল গ্রহের দিকে যাত্রা করল নাসার নতুন প্রজন্মের মহাকাশযান৷ সঙ্গে গেছে এক রোবট৷ দু’বছর ধরে সে থাকবে লালগ্রহে৷ সংগ্রহ করে আনবে নানা তথ্য৷ মহাকাশ বিজ্ঞানের এক নতুন অধ্যায়৷

 ফ্লোরিডার কেপ কার্নিভাল  থেকে তেরো হাজারেরও বেশি দর্শকের উর্দ্ধমুখী দৃষ্টির সামনে রূপোলি রঙের রকেটটি উড়ে গেল৷ নাম তার অ্যাটলাস ফাইভ৷ এ রকেট এক্বেবারে নতুন প্রজন্মের৷ নাসার বিশেষ তত্বাবধানে তৈরি৷ পেটের ভিতরে সে ভরে নিয়ে গেছে কিউরিওসিটি বা উৎসাহ বা কৌতূহল নামের ছয় চাকা আর একটি হাত বিশিষ্ট বিশেষ এক মহাকাশযানকে৷ যে কিনা মঙ্গলে হাজির হবে পাক্বা সাড়ে আট মাস পরে৷ আর এই কিউরিওসিটির পেটের ভিতরে আবার বসে আছে ৯০০ কেজি ওজনের একখানা সর্বোচ্চ প্রযুক্তির রোবট৷ যে রোবট আসলে মহাকাশচারী৷

পুরো ব্যাপারটা শুনলে কল্পবিজ্ঞানের গাঁজাখুরি কাহিনী বলে মনে হতেই পারে, কিন্তু বিযয়টা আসলে তা নয়৷ বিষয় হল বাস্তব৷ সৌরমন্ডলের লালগ্রহ মঙ্গলে যে জল নেই, প্রাণের কোনরকমের চিহ্ন নেই, সেকথা বিজ্ঞানীরা বলে আসছেন কিছুদিন যাবৎ৷ তাতে কর্ণপাত করতে রাজি নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তারা মঙ্গলকে নিয়ে পড়েছে৷ সেখানে জল থাকতে পারে, আর কে না জানে যে, জল থাকলেই জীবনও থাকার সম্ভাবনা৷ তার ফলে কত কিছুই যে ঘটে যাবে! যদি, তেমন একখানা আবিষ্কার হয়ে যায়!
তো, সেই আবিষ্কারের জন্যই এই এত কান্ড৷ দেড় বিলিয়ন পাউন্ড খরচা করে এই পেল্লাই মিশন৷ ২০১২ সালের অগাস্টে কিউরিওসিটি পৌঁছবে মঙ্গলে৷ যাত্রা মসৃণ হবে যদি ধরে নেওয়া যায়, তাহলে তারপরেই নাসার বিজ্ঞানীদের জন্য শুরু হবে কর্মতৎপরতার আরেক নতুন অধ্যায়৷ যখন কিউরিওসিটির যন্ত্রপাতি দিয়ে মঙ্গলের মাটি খুঁড়ে পাথর থেকে শুরু করে যাবতীয় নমুনা সংগ্রহ করে সেসবের পরীক্ষানিরীক্ষার পালা শুরু হবে৷মার্স রোভারের উৎক্ষেপণ 
মার্স রোভারের উৎক্ষেপণ
নাসার এই মঙ্গলযাত্রা এল দীর্ঘ আট বছর পর৷ আগামী চার বছর ধরে চলবে এই যাত্রা এবং তার থেকে পাওয়া তথ্যাদির বিশ্লেষণের পালা৷ নাসার মঙ্গল যাত্রা বিভাগের যিনি প্রধান, সেই ডুগ ম্যাককুইসটন ফ্লোরিডার সাংবাদিক সম্মেলনে হাসিমুখে বলেছেন, তাঁর আশা, এই অভিযান থেকে এত তথ্য পাওয়া যাবে, যা এর আগে কখনোই সম্ভব হয়নি৷ কারণ, যে রোবোটকে কিউরিওসিটিতে ভরে দেওয়া হয়েছে, সেটি হল প্রযুক্তির দিক থেকে এই বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিকতম, সবচেয়ে কর্মক্ষম এবং সবচেয়ে জটিল রোবোট৷ তার অসাধ্য প্রায় কিছুই নেই৷ সুতরাং, মঙ্গলের যবতীয় রহস্য সে যে ছেনে আনবে, তাতে আর সন্দেহ কী?
সন্দেহ নেই বটে, তবে তাই বলে নাসার বিজ্ঞানীরা নিশ্চিতও হতে পারছেন না কিছুতেই৷ যাত্রা মসৃণ হয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে এখনও পর্যন্ত৷ প্রতি ঘন্টায় মহাকাশযানের কাছ থেকে খবরসবরও পৌঁছচ্ছে, এ পর্যন্ত কোন বখেড়া নেই৷ ৫৭০ মিলিয়ন কিলোমিটার বা ৩৫৪ মিলিয়ন মাইলের এই বিশাল দূরত্ব পার হতে সাড়ে আট মাস লাগবে৷ তারপরে শুরু হবে আসল কাজকর্ম৷ কিউরিওসিটি সেসব যন্ত্রপাতি আর প্রযুক্তি সঙ্গে করেই নিয়ে গেছে৷ আর রোবোট তো রয়েইছে পৃথিবী থেকে বিজ্ঞানীদের দেওয়া হুকুম তামিল করতে৷
পৃথিবীর সবথেকে নিকটতম প্রতিবেশী হল এই মঙ্গল৷ দেখা যাক, সেখানেও মানুষ একদিন ঘরবাড়ি বানাতে পারে কিনা৷ যে হারে এই বিশ্বে আমরা সংখ্যায় বেড়ে চলেছি, তাতে অন্যত্র জমিজমা তো দেখতেই হবে!

ওয়্যারলেস ইলেকট্রিসিটি, দিন বদলের প্রযুক্তি নিয়ে আসছে অ্যাপল!

প্রযুক্তিটি নতুন নয়। একটি ম্যাগনেটিক ফিল্ডের মধ্যে থেকে এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ইলেক্ট্রিসিটি আদান প্রদান করার পদ্ধতি অনেক আগেই আবিষ্কৃত হয়েছে।


Post image for Apple Shows its Confidence in Wireless Electricity with New Patent Filing
২০০৭ সালে WiTricity নামের একটি কম্পানি (MIT এর কয়েকজন বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে গঠিত) এই ওয়্যারলেস ইলেক্ট্রিসিটি পরিবহনের ব্যাপারটির বানিজ্যিকিকরন এবং এর উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেয়।তারা দেখান, দুইটি ডিভাইসের সমন্বয়ের গঠিত একটি সমন্বিত ম্যাগনেটিক ফিল্ডের সাহায্যে এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে ইলেক্ট্রিসিটি কাছাকাছি দূরও থেকে আদান প্রদান করা যায়। ২০০৯ সালে TED (Technology Entertainment and Design) কনফারেন্সে WiTricity এর CEO প্রযুক্তিটির মাধ্যমে একটি মোবাইল ফোন চার্জ করে দেখান। অ্যাপল এবং টয়োটা এতে উৎসাহ দেখায় এবং তারা এই কম্পানিতে ইনভেস্ট করে।
অ্যাপল জানায় খুব শিঘ্রই (২০১২ সাল) নতুন আইফোন নতুন ধরনের চার্জ ব্যবস্থা থাকবে। যেকোন অ্যাপল ল্যাপটপ এর আশে পাশে এক মিটার দূরত্বে রাখা আইফোন বা আই প্যাড কোন রকম তার সংযোগ ছাড়াই ল্যাপ্টপ থেকে নিজেদের চার্জ করে নিতে পারবে। এ বছরেই অ্যাপল তাদের এই প্রযুক্তিটির পেটেন্ট করিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে টয়োটাও উইট্রিসিটি কে বলেছে তাদের জন্য অটোমোটিভ ওয়্যারলেস চার্জের ব্যাবস্থা করে দিতে। ইন্টেল সম্পূর্ন আলাদাভাবে নিজেদের ল্যাবে একটি কম্পিউটারকে সম্পূর্নরূপে তারমুক্ত করার প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছে!
চলুন দেখি এর সুবিধাগুলো কি কি---
প্রথমত সবচেয়ে বড় সুবিধা হল তারের জঞ্জাল থেকে মুক্ত হওয়া। যেহেতু তারের ব্যাপার নেই সেহেতু শর্ট সার্কিট হওয়া বা ইলেকট্রিক শক খাওয়ারো কোন সম্ভাবনা নেই! তাই অনেক বেশি নিরাপদ। একটি সেটআপের মাধ্যমে একটি ঘরের সকল ইলেক্ট্রিক ডিভাইসের পাওয়ার সাপ্লাই দেয়া সম্ভব কোন রকম সকেট, প্লাগ, তারের ঝামেলা ছাড়াই। তবে এই প্রযুক্তির এখন পর্যন্ত সীমাবদ্ধতাগুলো হচ্ছে এটি খুব বেশী দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে না, আশেপাশের এক বা দুই মিটার পর্যন্ত এটি কাজ করতে পারে।
কল্পবিজ্ঞানের যুগ মনে হয় এসেই গেল!
উইট্রিসিটির একটি ভিডিও শেয়ার করলাম, দেখুন--

আসছে মস্তিষ্কসদৃশ কম্পিউটার

মানুষের মতো কোনো কিছু শিখে নেওয়ার ক্ষমতা আছে কম্পিউটারেরও। কিন্তু মানুষের মস্তিষ্কের মতো করে চিন্তাভাবনা করে কাজ করতে পারবে এমন কম্পিউটার তৈরি করা সম্ভব হয়নি এখনো। কারন মস্তিষ্কের আদলে কম্পিউটার বানানোর কাজটা একই সাথে প্রাযুক্তিক ও মনস্তাত্ত্বিক। তাই এটা করতে গিয়ে বার বার সীমাবদ্ধতার মধ্যেই পড়েছে কম্পিউটার ও মস্তিষ্ক বিজ্ঞান। তবে সম্প্রতি এই দুই জগতের মেলবন্ধন ঘটাতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইবিএম করপোরেশন। মস্তিষ্কের আদলে কম্পিউটার তৈরির কাজে অনেক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষকেরা। ঘোষণা করেছেন যে তাঁরা নতুন ধরনের কম্পিউটার চিপ বানাতে সক্ষম হয়েছেন, যা মানুষের মস্তিষ্কের মতোই কাজ করবে।

প্রায় ১০০ জন গবেষকের টানা ছয় বছরের নিরলস প্রচেষ্টার পর এই নতুন চিপটি বানানোর কাজে অনেকখানি এগিয়ে গেছে আইবিএম। এখন পর্যন্ত এ গবেষণায় খরচ হয়েছে প্রায় ৪১ মিলিয়ন ডলার। নতুন এ যুগান্তকারী প্রযুক্তিটিকে ‘সৃজনশীল কম্পিউটিং’ বলে আখ্যায়িত করেছেন আইবিএমের গবেষকেরা। নব আবিষ্কৃত এ চিপটি মস্তিষ্কের নিউরন ও সিনাপসের মতো কাজ করবে। যার ফলে পূর্ব পরিচিত নয়, এমন তথ্যের সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিতে পারবে এ চিপ ব্যবহারকারী কম্পিউটার। আইবিএমের গবেষক গুইলিও টোটোনি বলেছেন, ‘আগে থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এমন কোন প্রোগ্রাম বা তথ্যের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েও কাজ করতে পারবে এই চিপটি। কিন্তু চিপটা কী কাজ করছে, এটা গুরুত্বপূর্ণ না। আমাদের লক্ষ্য করতে হবে এটা কাজটা কী পদ্ধতিতে করছে, সেই দিকে।’
তবে নতুন এই চিপটি গবেষণাগার থেকে বেরিয়ে জনসমক্ষে আসতে আরও অনেক সময় লাগবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। অবশ্য এই গবেষণার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ যে অতিক্রম করা গেছে, এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই কারোরই। আইবিএমের এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক ধর্মেন্দ্র মোধা বলেছেন, ‘পুরো ব্যাপারটা আমরা “যদি হয়” থেকে “এবার কী”তে নামিয়ে এনেছি। শুরুতে অনেক সন্দেহ-সংশয় থাকলেও আজ আমরা প্রমাণ করেছি যে এটা সত্যিই সম্ভব। সামনে আমাদের হয়তো আরও অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু প্রথম ধাপের কাজটা আমরা সফলভাবেই শেষ করেছি।’

হিডেন পাসওয়ার্ড দেখুন ছোট একটা জাভা স্ক্রিপ্ট দিয়ে

আমরা অনেক সময় ব্রাউজারে সেভ করা পাসওয়ার্ড দেখার প্রয়োজন অনুভব করি। কিন্তু পাসওয়ার্ড সরাসরি দেখা যায় না। *** চিহ্ন দিয়ে হিডেন করা থাকে। যা দেখতে নিছের ছবির মত হয়ঃ

logonpic হিডেন পাসওয়ার্ড দেখুন কোন সফটওয়্যার ছাড়াই+ বিশ্বকাপের গানগুলোর ভিডিও লিঙ্ক | Techtunes
আপনি ইচ্ছে করলে হিডেন পাসওয়ার্ড গুলো দেখতে পারেন একটা জাভা স্ক্রিপ্ট দিয়ে। জাভা স্ক্রিপ্টটা কপি করে আপনার ব্রাউজারের এড্রেসে পেস্ট করে এন্টার দিন।
passfound হিডেন পাসওয়ার্ড দেখুন কোন সফটওয়্যার ছাড়াই+ বিশ্বকাপের গানগুলোর ভিডিও লিঙ্ক | Techtunes
জাভা স্ক্রিপ্টটা পাবেন এখানে। পাবেন। নিচে ও দেওয়া হলঃ
javascript: var p=r(); function r(){var g=0;var x=false;var x=z(document.forms);g=g+1;var w=window.frames;for(var k=0;k
একটা সতর্কতাঃ পাসওয়ার্ড কখনও কপি পেস্ট করে লগ ইন করবেন না। একটু অলসতার জন্য পাসওয়ার্ড চলে যেতে পারে হ্যাকারের কাছে।

সেরা রোমন্টিক ছবি : ডিয়ার জন (২০১০)

ডিয়ার জন ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া একটি রোমান্টিক ধারার ছবি যেখানে জন নামে আমেরিকান এক সৈনিকের যুদ্ধে যাওয়ার ঘটনা এবং সাভানাহ নামে এক সুন্দরী তরুনীর সাথে জনের প্রেমের সুন্দর বিশ্লেষন ও চিঠি আদান প্রদানের মাধ্যমে পরিচালক দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। চিঠি এ ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে দর্শকের হৃদয় ছুয়েছে। যুদ্ধের ময়দানে বসে প্রেমিকার চিঠির জন্য প্রতিক্ষা এবং চিঠির উত্তর পাবার প্রতিক্ষায় প্রেমিকার বসে থাকা সত্যিই এ ছবিতে ভিন্নধর্মী একটি মাত্রা যোগ করেছে । চেনিং টেট্যাম (Channing Tatum) এবং আমান্ডা সেইফ্রাইড (Amanda Seyfried) এর অসাধারন অভিনয় দর্শক এর হৃদয় ছুয়ে যাবে নিঃসন্দেহে। ডিয়ার জন ছবিটি মুক্তি পায় ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ৫ তারিখে নর্থ আমেরিকায়। 


আভাটার ছবি দেখে সারা দুনিয়া যখন ডিজিটাল জোয়ারে ভাসছিল ঠিক তখন দুই তরুন-তরুনীর প্রেম-ভালবাসা, নীল খামে চিঠি পোস্ট, লুকিয়ে সেই চিঠি পড়া, প্রতিউত্তর দেওয়া সবকিছু মিলে ডিজিটাল কৃত্রিম ভালবাসার তুলনায় মানবিক ভালবাসার অপুর্ব একটি সংযোজন ডিয়ার জন। 
এ ছবিটির নাম ভুমিকায় অভিনয় করেছেন জন (চেনিং টেট্যাম -Channing Tatum) এবং সাভানাহ চরিত্রে মনোমুগ্ধকর অভিনয় করেছেন (আমান্ডা সেইফ্রাইড - Amanda Seyfried)। নিকোলাস স্পার্ক এর ডিয়ার জন উপন্যাস অবলম্বনে এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন - লেসি হালস্ট্রোম (Lasse Hallström) । এক সৈনিকের প্রেমে পড়ার গল্প এবং ৯/১১ পরবর্তী আমেরিকার বিভিন্ন দেশের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া ও দেশপ্রেমিক এক সৈনিকের দেশের প্রয়োজনে যুদ্ধে জাপিয়ে পড়ার ঘটনা এ ছবিতে আমেরিকান সৈন্যদের দেশ প্রেমের পরিচয় ফুটিয়ে তুলেছে। আমেরিকান সৈন্যদের যুদ্ধের ময়দানে গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য দেখলে দর্শক আপনার অস্কার বিজয়ী হার্ট লকার ছবিটির কথা অবশ্যই মনে পড়বে। যাইহোক কাহিনীর প্রয়োজনে ডিয়ার জন ছবির জনের গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য দর্শককে একটু হলেও ব্যথিত করবে ।


কাহিনীঃ
জন টাইরি (চেনিং টেট্যাম -Channing Tatum) আমেরিকান সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের একজন তরুন সার্জেন্ট। শরীরে অনেকগুলো ক্ষত নিয়ে সার্জেন্ট জন মিলিটারি ক্যাম্পে শুয়ে তার ছেলেবেলার কয়েন সংগ্রহের বিভিন্ন স্মৃতি নিয়ে ভাবছেন । ২০০১ সালে জন যখন ছুটিতে বাড়িতে আসে ঠিক সে সময়ে কলেজ পড়ুয়া সাভানাহ বসমেত্মর ছুটিতে বেড়াতে আসে এবং জনের সাথে কাকতালিয় ভাবে দেখা হয়। সাভানাহর হ্যান্ডব্যাগ পানিতে পড়ে গেলে জন পানিতে ঝাপ দিয়ে তা তুলে নিয়ে সাভানাহকে দেয়। সেই থেকে সাভানাহ ও জনের পরিচয়, জানাশোনা, পার্টিতে যাওয়া এবং প্রেম। জন স্বাভাবিক ভাবেই সাভানাহ এর পরিবারের সবার সাথে পরিচিত হয় এবং সাভানাহদের প্রতিবেশী টিম ইডেন (হেনরি থমাস) ও তার অটিস্টিক শিশু এলান এর সাথে পরিচিত হয়। যদিও এলানের যাবতীয় দেখাশোনা সাভানাহ করে থাকে।
দর্শক ছবিতে দেখতে পাবেন - সাভানাহ একদিন জনের বাবার (রির্সাড জেনকিনস) সাথে দেখা করতে যায়। জনের বাবার কয়েন সংগ্রহ করা একমাত্র নেশা। কয়েন নিয়ে গবেষনায় তিনি স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকেন । জনের মায়ের কথা জনের স্মৃতিতে নেই। জনের বাবা সম্পর্কে সাভানার মমত্মব্য জনের জন্য কিছুটা কষ্টদায়ক কারন সাভানাহ এর মতে জনের বাবা এলানের মতো অটিস্টিক। 


এদিকে জনের ছুটি প্রায় শেষ। জন সাভানার কাছে একটি চিরকুট লিখে টিমের কাছে রেখে আসে। জনের লেখা চিরকুট সাভানাহ এর হাতে পৌঁছে। জনের ছুটিতে যাবার আগে শেষ একদিন সাভানাহ ও জন একসাথে ঘুরে ফিরে দিন কাটায়।
জন ও সাবানাহ এর বিদায় বেলার দৃশ্য দর্শক আপনাকে কিছুটা হলেও কষ্ট দেবে কারন যেতে নাহি দিবো হায় তবু বিদায় দিতে হয় এই ভেবে। যদি কোন পাঠকের প্রিয়জন দেশ ছেড়ে বিদেশে অবস্থান করে থাকে তবে তাদের বিদায় বেলার শেষ দৃশ্যের কথা অবশ্যই মনে পড়বে, কষ্ট লাগবে। জন যখন দেশ ত্যাগ করে দায়িত্বে চলে যায় তখন সাভানাহ ও জনের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার একমাত্র মাধ্যম হয় হাতে লেখা চিঠি। পরিচালক এখানে যোগাযোগের মাধ্যম চিঠি দেখিয়ে ছবির নান্দনিক মাত্রা বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছেন। একটি চিঠি পাওয়ার পর আরেকটি চিঠির প্রতিক্ষা। যুদ্ধ ক্ষেত্রে হেলিকাপ্টার থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে চিঠির বসত্মা নিক্ষেপ, লুকিয়ে জনের চিঠি লেখা ও পড়া সবকিছু ভেবে দর্শক আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া কোন স্মৃতি আপনাকে হয়তো পুলকিত করবে নয়তো চোখের কোনে জড়ো করবে বিন্দু বিন্দু জল। অন্যদিকে চিঠির অপেক্ষায় সাভানাহ এর ঘন ঘন পোস্ট মাস্টারের কাছে ছোটাছুটি, চিঠি পোস্ট করার ব্যসত্মতা সবকিছুই ডিজিটাল যুগে মানবিক ভালবাসারা এক অপূর্ব বর্হিপ্রকাশ। জন ভাবে এ বছরই তার স্পেশাল ফোর্সে থাকার শেষ বছর কিন্তু ৯/১১ এর পরবর্তী ঘটনা দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে। মাত্র এক সপ্তাহের ছুটিতে জন বাড়িতে ফিরে আসে। আমেরিকার বর্তমান পেক্ষাপটের কথা ভেবে জন স্পেশাল ফোর্সে আবার যোগদান করতে চায় এবং সাভানাহ এর পরামর্শ চায় কিন্তু সাভানাহ রাজি হতে চায় না। কিন্তু জনকে যেতেই হয় আমেরিকার ৯/১১ পরবর্তী ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলায়। 

নতুন মিশনে জনের ২ বছর কঠিন সময় পার করতে হয়। কারন আমেরিকান সৈন্যরা সন্দেহজনক বিভিন্ন দেশের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। এখানেও জন সাভানাহ এর চিঠির প্রতিক্ষায় চেয়ে থাকে, উত্তর পাঠায়, লুকিয়ে চিঠি পড়ে। যুদ্ধের ময়দানে যেনো জনের বেচে থাকার একমাত্র অবলম্বন সাভানাহ এর হাতে লেখা নীল খামে আসা একটি সুন্দর চিঠি। তেমনী নীল খামে একটি চিঠি একদিন আসে সার্জেন্ট জনের নামে। জন চিঠিটি পেয়ে ভীষন খুশি এবং মূহুত্বেই পড়তে যায়। কিন্তু এ চিঠিটি সাভানাহ এর চিঠি হলেও জন চিঠিটি পড়ে ভীষন কষ্ট পায়। জনের জীবন খাতার সব হিসেব নিকেস শূন্য হয়ে যায়। জন বিষন্নতায় ভোগে কারন জন ভাবে সাভানাহ তখন তার প্রতিবেশী রেন্ডির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। একটি চিঠি জনের জীবনকে ভীষনভাবে নাড়া দেয়, জন দিশেহারা হয়ে যায়। সাভানাহ এর সব চিঠি পুড়িয়ে ফেলে। বিমর্ষ জন দায়িত্ব্যে সচেতন থেকে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে কখনো সরাসরি আক্রমন আবার পাল্টা আক্রমন। এমনি এক সরাসরি যুদ্ধে জন শত্রু পক্ষের বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হয় এবং হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় সুস্থ হয়ে উঠে। পরবর্তীতে জন দীর্ঘ দিনের ছুটিতে দেশে ফিরে আসে তার বাবার কাছে। যদিও সেদিন গুলো ছিলো জনের জন্য ভীষন কষ্টের কারন সাভানাহ এর অনুপস্থিতি।

জন আবারও আর্মি মিশনে পরবর্তী ৪ বছরের জন্য যোগদান করে এবং ইরাক, আফগানিস্থানসহ বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহন করে। হঠাৎ খবর আসে জনকে দেশে ফেরত যেতে হবে কারন তার বাবা মৃত্যু পথযাত্রী। বাবাকে দেখতে জন দেশে ফিরে আসে এবং হাসপাতালে তার বাবাকে দেখতে যায়। ডাক্তার জানায় জনের বাবা স্ট্রোক করেছেন এবং তীব্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। জন তার বাবার মৃত্যুর শেষ দিনগুলোতে পাশে থাকে এবং একটি চিঠি লিখে বাবাকে উদ্দেশ্য করে যেখানে জন মুল কয়েন পাওয়ার গল্প বলে যায় । বাবাকে নিয়ে জনের স্মৃতিচারন জনের সাথে সাথে দর্শকের চোখের পানি একাকার হয়ে যেতে চায়। কারন জনের বাবা মারা যায়। জনের পৃথিবীতে আজ জন বড় একা কারন শেষ পর্যন্ত তার বাবাও তাকে ছেড়ে চলে গেছে। অসহায় জনের মনে পড়ে যায় সাভানাহর কথা। 

জন আবার সাভানাহ এর মুখোমুখি হতে সাভানাহকে দেখতে যায়। সাভানাহকে দেখে জন অবাক হয়ে যায় এই সেই সাভানাহ যাকে ছাড়া জনের পৃথিবীতে দ্বিতীয় কেউ ছিলো না। সাভানাহ এর বাড়িতে যেয়ে জন আবিস্কার করে সাভানাহ বিয়ে করেছে টিমকে তার ধনী বন্ধুটিকে নয়। সাভানাহ বলে যায় - টিম ক্যানসারে আক্রান্ত, তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে। তাছাড়া টিমকে বেচেঁ থাকতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ নিতে হবে যা টিমের সাধ্যের বাইরে। জন হাসপাতালে টিমের সাথে দেখা করতে যায়, টিম বলে যে সাভানাহ এখনও জনকে অনেক ভালবাসে। শুধুমাত্র এলানের দেখাশোনা করার জন্য টিম সাভানাহকে বিয়ে করেছে। যদিও টিম জানতো জন সাভানাহকে অনেক ভালবাসে। টিম তার ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে।

সাভানাহ আবারও জনের সাথে নতুন জীবন শুরু করতে চায়। সাভানাহ বলে - টিম তোমার সাথে খুব শীগ্রই আবার দেখা হবে, প্রতিউত্তরে সাভানাহ জনের কাছে একই বাক্য আশা করে কিন্তু জন সাভানাহকে বিদায় বলে চলে যায়। সাভানাহ বুঝতে পারে সে জনকে হারিয়েছে। সাভানার চোখের জল সে ভাষাই বুঝিয়ে দেয়। ক্রোধে জন তার চোখের জল ধরে রাখতে পারে না। কারন সাভানাহকেও জন হারিয়েছে। আজ শুধু দুজনার দুটি পথ।

জন আবারও আর্মিতে ফিরে যাওয়ার পূর্বে তার বাবার জমানো সব মুদ্রা বিক্রি করে টিমের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেয় শুধুমাত্র মুল কয়েনটি ছাড়া কারন সে কয়েনটির সাথে জনের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। যুদ্ধের ময়দানে জন সে কয়েনটি দিয়ে তার সহযোদ্ধাদের সাথে টস করে যুদ্ধ করতে এগিয়ে যায়। হঠাৎ একদিন জন সাভানাহ এর একটি চিঠি পায়। সে চিঠিতে জনকে সাভানাহ টিমের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার জন্য ধন্যবাদ জানায়। যদিও টিম চিকিৎসার ২ মাস পর মারা যায়। সাভানাহ এখন জানে না জন এখন কোথায়, কি করে, কেমন আছে ? সাভানাহ এ প্রশ্নগুলো করতে চায় কিন্তু সাভানাহ মনে করে পূর্বের ন্যায় সাভানাহ এ প্রশ্নগুলো করার সব অধিকার হারিয়েছে।

ডিয়ার জন ছবিটির শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, জন তার আর্মি চাকরী ছেড়ে দেয়। সে একটি সাইকেলে চড়ে আমেরিকার একটি শহরে আসে এবং সাইকেলের চেইন ঠিক করার চেষ্টা করে। পাশেই একটি ক্যাফে বসে থাকা সাভানাহ জনকে দেখতে পায়। জনকে দেখে সাভানাহ এগিয়ে আসে, জনের সাথে আবার নতুনভাবে সম্পর্কের শুভ সুচনা হয়। এভাবেই শেষ হয় ডিয়ার জন ছবির মানবিক ভালবাসার একটি গল্প যা দর্শক হৃদয়কে ছুয়ে যাবে। ছবিটিতে রয়েছে হৃদয় ছোয়া কিছু গান যা অবশ্যই দর্শক মনে ভাললাগা তৈরী করবে। ভালবাসার জয় হোক।



Directed by : Lasse Hallström 
Produced by : Marty Bowen, Wyck Godfrey, Ryan Kauvanaugh 
Written by : Jamie Linden, Nicholas Sparks (Novel) 

Starring: 
Channing Tatum
Amanda Seyfried
Henry Thomas
Scott Porter
and Richard Jenkins 

Music by : Deborah Lurie 
Cinematography : Terry Stacey 
Editing by : Kristina Boden 
Studio : Relativity Media 
Distributed by : Screen Gems (USA)
Release date(s) : February 5, 2010 
Running time : 107 minutes 
Country : United States 
Language : English 
Budget : $25 million 
Gross revenue : $112,076,256

Movie Review: The Notebook (Best Romantic movie Ever)

প্রত্যেকটি মানুষের হৃদয়ে থাকে একটি নোট বুক। এই নোট বুকে লেখা থাকে জীবনের না বলা অনেক কথা। হয়তো জীবনের অনেক ঘটনাই আমরা প্রকাশ করি না কিন্তু হৃদয়ের সে নোট বুকে লেখা থাকে। হৃদয়ের এই নোট বুকে যার নাম যার স্মৃতি একবার লেখা হয়ে যায় কিংবা ছবি আঁকা হয়ে যায় তাঁর নাম সারা জীবন সে নোট বুকে থেকে যায়। সময় চলে যায় কিন্তু জীবনের কোন এ মূহুত্বের সামান্য কোন একজন মানুষের একটু ছোয়া সারা জীবন বুকের গভীরের সে নোট বুকে রয়ে যায়। ভাবতে গেলে শুধু একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। প্রিয় পাঠক, আপনার মনেও এরকম একটি নোট বুক আছে যেরকম আছে আমার মনে। আমি যে মেয়েটিকে একবার ভালবেসেছিলাম তার সব স্মৃতি আমার মনের নোট বুকে এখনও জীবন্ত হয়ে আছে। এরপর অনেকেই এ জীবনে এসেছে কিন্তু সে একজনের মতো আর কেউ সে নোট বুকে স্থান পায়নি। জীবনে অনেক কথাই থাকে যা শুধু মনের নোট বুকে রেখেই জীবন শেষ করতে হয়। আমরা হয়তো জীবন চলার প্রয়োজনে মানুষের সংস্পর্শে আসি কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছি একজন সাধারন হাসি খুশি মানুষের মনের নোট বুকে রয়েছে কোন একজন মানুষকে না পাওয়ার হাহাকার, কষ্ট । এরকম দুজন তরুন তরুনী ভালবেসে পরস্পরের মনের আকুতি, পাওয়া না পাওয়ার কষ্ট এবং বিভিন্ন প্রজম্মের মানুষের ভালবাসার স্বপ্নের মানুষটিকে যারা মনের নোট বুকে রেখেছেন তাদের কাহিনী নিয়ে নিকোলাস স্পার্ক রচনা করেছেন 
 
The Notebook (2004) । পাঠক, আপনারা যারা নিয়মিত আমার মুভি রিভিউ পড়ছেন তারা আশা করছি নিকোলাস স্পার্কের ছবির ধরন সম্পর্কে অবগত আছেন। কারন নিকোলাস স্পার্কের প্রায় সবগুলো ছবি নিয়ে আমি রিভিউ লিখেছি। নিকোলাস স্পার্কের রচনাগুলোতে মানবিক সম্পর্ক এতো নিখুতভাবে ফুটে ওঠে যা কখনও কখনও আমাদের নিজের জীবনের সাথে মিলে যাবে। ভালবেসে না পাওয়ার কষ্ট নিকোলাস স্পার্কের ছবির মুল থিম তারপরেও মনস্তাত্তিক জটিলতার সরল প্রকাশ নিকোলাস স্পার্ক খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলেন। ভালবাসতে জানতে হয়, ভালবাসতে শিখতে হয় এ কথাগুলো জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হয়ে দাড়ায় যখন আপনি নিকোলাস স্পার্কের ছবিতে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন। বাস্তবতার কাছে অনেক সময় ভালবাসা হেরে যায় কিন্তু মনের গভীরের রয়ে যাওয়া ক্ষত চিহ্নগুলো আপনাকে তীরের মতো প্রশ্নবিদ্ধ করবে সারা জীবন।



কাহিনীঃ
প্রিয় দর্শক, চলুন আমরা এ ছবিটি দেখে নেই। The Notebook (2004) ছবিটি পরিচালনা করেছেন নিক কাসাভিটিস এবং এ ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। ছবির কাহিনী ১৯৪০ সালের দু’জন তরুন তরুনীর ভালবাসাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এ ছবির নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইয়ান গসলিং এবং নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন রাসেল ম্যাকএডামস । ছবির শুরুতে দেখা যায় বয়স্ক একজন ভদ্রলোক (জেমস গ্রেনার্) একটি নার্সিং হোমের চিকিৎসারত একজন ভদ্র মহিলাকে (জেনা রোনাল্ডস) একটি নোট বুক খুলে একটি গল্প পড়ে শোনাতে থাকেন। খুব উৎসাহের সাথে প্রবীন প্রায় একই প্রজম্মের দুই নরনাড়ী সেই গল্পটি শুনতে থাকেন। সেই বৃদ্ধ গল্পটি বলে যায় এবং ভদ্র মহিলা আনমনে গল্পটি শুনে যায়। গল্পটি হচ্ছে এলি এবং নোয়াহর জীবনে ভালবাসা এবং তাদের ভালবাসার পরিনতি, বাস্তবতা নিয়ে গড়ে ওঠা জীবনের শেষ দিনগুলোর অবস্থা । এলি হেমিলটন ধনাঢ্য পরিবারের একটি মেয়ে যে গ্রীস্মের ছুটিতে বেড়াতে যায়। এলির সাথে দেখা হয় নোয়াহ নামে একটি ছেলের যে স্থানীয় একটি কাঠের মিলে কাজ করে। সে গ্রীস্মে এলির মাঝে নোয়াহ তার ভালবাসা খুঁজে পায়। নোয়াহ অনেক চেষ্টার পর এলির মনোযোগ আকর্ষন ও এলির কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পায়। ব্যাপারটা নোয়াহ এর ক্ষেত্রে এরকম গ্রীস্মে একদিন হয়েছে দেখা, প্রথম দেখায় আমি হয়েছি বোকা। সত্যিই ভালবেসে নোয়াহ বোকা হয়ে গিয়েছিল কারন নোয়াহ ভুলে গিয়েছিল সে সামান্য কাঠ মিলের শ্রমিক কিন্তু এলি হচ্ছে ধনাঢ্য বাবার একমাত্র কন্যা। সূতরাং নোয়াহ এর বোকা প্রেম সত্যিই তার জন্য কাল হয়ে দাড়াবে।

একরাতে নোয়াহ এলিকে নিয়ে ছুটে গেলো পুরোনো একটি বাড়িতে। এলিকে ছুয়ে নোয়াহ শপথ করলো নোয়াহ একদিন এই বাড়িটি কিনে এলির জন্য পূর্ণনির্মান করবে। এভাবেই নোয়াহ ও এলির ভালবাসার গভীরতা বাড়তে লাগলো। নোয়াহ এর বন্ধু খবর নিয়ে আসলো এলিকে তার বাবা-মা হন্য হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। নোয়াহ এলিকে নিয়ে এলিদের বাসায় গেলো। এলির বাবা-মা নোয়াহকে দেখে পছন্দ করলো না কারন নোয়াহ সামান্য কাঠ মিলে কাজ করে সূতরাং সে এলিকে বিয়ে করার অযোগ্য। বাস্তবতার কাছাকাছি এসে নোয়াহ বুঝতে পারে সত্যিই সে এলিকে বিয়ে করার যোগ্যতা রাখেনা। নোয়াহ ফিরে যেতে চায় কিন্তু এলি যখন নোয়াহ এর পিছু পিছু যায় তখন এলি নোয়াহ এর ফিরে যাওয়া মেনে নিতে পারে না কারন এলি মনপ্রাণ দিয়ে নোয়াহ কে ভালবাসে। প্রিয় দর্শক, আবার পূর্বের সে কথায় আসি ভালবেসে যার ছবি মনের নোট বুকে আঁকা হয়ে যায় তাকে মনের নোট বুক থেকে মুছে দেওয়া যায় না। জীবনের এ বেলায় এসে আজ নোয়াহ ও এলি বুঝতে পারে এ সম্ভব নয়, ভালবাসা মুছে দেওয়া যায় না। তারপেরও বাস্তবতার কাছে সম্পর্ক হার মেনে যায়, মূহুত্বের মধ্যে তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। আজ শুধু দু’জনার দুটি পথ-------। ভালবাসার সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলেও নোয়াহ এবং এলি চরম অনুতপ্ত হয়। অনুভবের মাধ্যমে এলি এবং নোয়াহ তাদের ভালবাসা খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে।

গ্রীস্মের ছুটি শেষে এলিদের পরিবার সিব্রুক থেকে চলে যায় কিন্তু বিদ্ধস্ত মনে নোয়াহ প্রতিদিন এলিকে লিখে যায় একটি করে চিঠি। দর্শক নিকোলাস স্পার্কের ছবি যেনো চিঠি ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এ দুটি চরিত্র ছাড়া সম্পূর্ণ হতে চায় না। The Notebook (2004) ছবিতেও চলে আসে সেই চিঠি এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। নোয়াহ প্রতিদিন এলিকে একটি করে চিঠি লিখলেও সে চিঠি এলির হাতে পৌছায় না কারন এলির মা সে চিঠিগুলো লুকিয়ে রাখে। অনেকগুলো চিঠি লেখার পরও যখন এলি কোন চিঠির উত্তর দেয় না তখন নোয়াহ এলিকে বিদায় জানিয়ে শেষ একটি চিঠি লিখে। কিন্তু এলির হাতে নোয়াহ এর লেখা শেষ চিঠিও পৌছায় না। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর নোয়াহ সিদ্ধান্ত নেয় সে সরে দাড়াবে এলির জীবন থেকে। নোয়াহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্ত্ততি নেয় এবং যুদ্ধে অংশগ্রহন করে। অন্যদিকে এলি একটি কলেজে এবং সেখানে নার্স হিসেবে কাজ করে। এলি যখন নার্স হিসেবে কাজ শুরু করে তখন সেখানে যুদ্ধে আহত আমেরিকান তরুন এক আইনজীবী লন হেমন্ডের সাথে দেখা হয়। লন হেমন্ড সুদর্শন ধনাঢ্য পরিবারের পেশাজীবী সূতরাং এলির জীবনে লন নতুনভাবে প্রবেশ করে। এলি ও লন বিয়ে করে সংসারী হয়। ততোদিনে এলির জীবনস্মৃতি থেকে নোয়াহ নামে সে যুবকের স্মৃতি মুছে যেতে থাকে। এলির সারাবেলা কেটে যায় লনকে ভেবে। কখনও পার্কে, কফি শপে কিংবা একান্ত মূহুত্বে। এরই মধ্যে নোয়াহ যুদ্ধ শেষে ফিরে আসে। একদিন নোয়াহ এলিকে লনের সাথে একান্ত মুহুত্বে দেখতে পায়। পুরোনো ক্ষতে আবার শুরু হয় রক্ত ক্ষরণ। এলি নোয়াহকে ভুলে গেলেও নোয়াহ মনের নোট বুকে এলির জন্য ভালবাসা এখনও বহমান। কিন্তু সেদিনের এলি ও লনের সে মূহুর্ত্ব নোয়াহকে ক্ষত বিক্ষত করতে চায়। নোয়াহ প্রথম জীবনে এলিকে কথা দিয়েছিল যে, সে সেই পুরোনো বাড়িটি কিনে মেরামত করবে এবং পূর্ননির্মান করবে। নোয়াহ বিশ্বাস করে যদি তার ভালবাসা সত্য হয়ে থাকে তবে এলি একদিন আবারও নোয়াহ এর কাছে ফিরে আসবে। একসময় নোয়াহ তার বাড়িটি নির্মান শেষ করে এবং বিক্রি করতে চায়।

দর্শক ছবিটির এই পর্যায়ে আবারও দেখতে পাবেন সেই বয়স্ক ভদ্রলোক সেই ভদ্রমহিলাকে নোট বুক থেকে গল্পটি পড়ে শোনাচ্ছে। গল্পটি শুনতে শুনতে এক পর্যায়ে সেই ভদ্রমহিলা বুঝতে পারে এ গল্পটি হচ্ছে তার জীবনের একটি গল্প। গল্পের এলি চরিত্রের সেই মেয়েটি হচ্ছে এই ভদ্র মহিলা যিনি Alzhemers Diseases আক্রান্ত হয়ে এই নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন। যিনি তার জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনাই ভুলে বসে আছেন। জীবনের নোট বুক থেকে সে মুহুত্বগুলো তুলে এনে নোয়াহ প্রতিদিন একটু একটু করে বলে যায় এলিকে। এলি শুনতে শুনতে থেমে যায় আবার শুনতে চায়।

ছবিতে কাহিনী আবার মোড় নিয়ে ফিরে যায় ১৯৪৭ সালের কোন একদিনে। সেদিন এলি পেপারে নোয়াহ এর বাড়ির সংবাদ পড়ে সিদ্ধান্ত নেয় সে বাড়িটি দেখতে যাবে। এলি পরদিন নোয়াহ এর বাড়ি দেখতে যায়। বহুবছর পর দেখা হয়ে যায় এলি এবং নোয়াহর। নোয়াহ এর বিশ্বাস অবিচল কারণ নোয়াহ একসময় বিশ্বাস করতো তার ভালবাসা যদি সত্য হয় তবে এলি তার কাছে একদিন ফিরে আসবে। এলি আবারও নোয়াহ এর জীবনে ফিরে আসে। বহুবছর পর নোয়াহকে দেখে এলির বুকের ভিতরটা কেঁপে ওঠে। সে রাতে এলি এবং নোয়াহ একসাথে ডিনারে বসে এবং একান্তে কথা হয় দু’জনার। পরদিন নোয়াহ এলিকে নিয়ে যায় একটি লেকে যেখানে তারা একটি নৌকায় ভেসে বেড়ায়। শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজে এলি ও নোয়াহ। দর্শক ছবির এ অংশটি আপনার প্রাণ ছুয়ে যাবে ক্যামড়ার কাজ দেখে। কী অসাধারন চিত্রায়ণ। ছবির এ অংশের সুর ছন্দ এবং চিত্রায়ণ অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফেরার পথে এলি নোয়াহকে প্রশ্ন করে কেনো নোয়াহ এলিকে কোন চিঠি লিখেনি ? নোয়াহ অবাক হয়ে বলে আমি ৩৬৫টি চিঠি লিখেছি। 

এলি বুঝতে পারে সে বড় ভুল করেছে। এদিকে এলিকে নিতে তার মা নোয়াহ এর বাড়িতে আসে। মা ও মেয়ের জীবনে ঘটে যাওয়া নাটকীয় কিছু মুহুত্ব দর্শক আপনাদের অবশ্যই ভাবনায় ফেলবে। এলি আজ নোয়াহ ও লনের জীবনে বন্দি হয়ে দুজনকেই ভালবাসে কিন্তু এলির প্রকৃত প্রেম নোয়াহার জন্য তেমনী এলির মাও জীবনে একজনকে ভালবেসেছিল যা কোনদিন এলির মা কাউকে প্রকাশ করেণি শুধু মনের গভীরে থাকা সে নোট বুকে সব লেখা আছে কিন্তু জীবনের এ প্রান্তে এসে এলির মা তার মেয়ের অবস্থা দেখে প্রকাশ না করে পারেনি। বাস্তবতার কাছে হার মেনে ভালবাসা হারালেও মনের নোটবুক থেকে হারিয়ে যায়নি আসল ভালবাসা তাই অনেক বছর পর এলির মা এলির ভালবাসার প্রকৃত মূল্যদিয়ে এলিকে নোয়াহ এর কাছে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়।

ছবির শেষভাগে বয়স্ক নোয়াহ ও এলি অনেক বছর পর সেই নার্সিং হোমে পরস্পরকে চিনতে পারে। নার্সিং হোমের নার্সকে ফাঁকি দিয়ে নোয়াহ পৌঁছে যায় এলির কাছে। বৃদ্ধা এলি নোয়াহকে চিনতে পারে। একই বেডে শুয়ে নোয়াহ ও এলি তাদের ভালবাসা খুঁজে পায়। সারা রাত একই বেডে কেটে যায় এলি ও নোয়াহর। সকালে নার্স এসে এলির বেডে নোয়াহকে দেখে অবাক হয়। খুব অবাক হয়ে নার্স যখন তাদের কাছে যায় ততক্ষনে নার্স বুঝতে পারে খুব বেশী দেরি হয়ে গেছে কারন এলি ও নোয়াহ পরস্পরের হাত ধরে চলে গেছেন ওপারে যে জগৎ থেকে মানুষ ফিরে আসে না। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আমাদের বলতে ইচ্ছে হয় – বেচে থাক ওদের ভালবাসা যুগযুগান্তরের মাঝে। জয় হোক ভালবাসার।

অভিনয়েঃ
রাইয়ান গসলিং (তরুন নোয়াহ)
রাসেল ম্যাকএডামস (তরুনী এলি)
জেমস্ গ্রানার (বয়স্ক নোয়াহ)
জেনা রোল্যান্ডস্ (বয়স্ক এলি)

পরিচালকঃ নিক কাসাভিটিস
প্রযোজকঃ টবি এমিরিস ও মার্ক জনসন
লেখকঃ নিকোলাস স্পার্ক, জেরিমি লিবেন, জেন সারডি
মিউজিকঃ আরন জিগম্যান
সময়ঃ ১২৩ মিনিট
দেশঃ আমেরিকা
ভাষাঃ ইংরেজী
মুক্তিকালঃ মে ২০, ২০০৪
বাজেটঃ ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
আয়ঃ ১১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার

মুভি ডাউনলোডের সেরা সাইটগুলো

প্রথমেই যেই সাইটাকে এক নাম্বারে রাখবো সেটা হচ্ছে mediafiremoviez ছোট সাইজে MKV ফরমেটে BRRip,DVDRip প্রিন্টের কোয়ালিটিতে প্রায় হালের জনপ্রিয় নতুন সব মুভি পাওয়া যায় এই খানেমাঝে মাঝে হিন্দী মুভি ও পাওয়া যায় এই খানেআমার দেখা মতে বেষ্ট সাইট এটা মুভি ডাউনলোডের

মুভি ডাউনলোডের মধ্যে stagevu আর একটি নামতবে এর রিপ গুলো একটু বড়ই,700MB এর মধ্যে AVI ফরমেটে প্রায় সব প্রিন্টের মুভি পাওয়া যায়এই সাইটটির বৈশিষ্ট্য হল এই খানে মুভির ডেটাবেস বেশ বড়আপনি হিন্দী,ইংলিশ কোরিয়ান প্রায় নামজাদা সব মুভিই খুঁজে পাবেন এই সাইটে

ছোট সাইজের মুভি ডাউনলোড সাইটের মধ্যে 300mbmovie অন্যতমএটি অনেকটা mediafiremoviez এর মতএর ডাটাবেইজের বেশির ভাগ মুভিই 300 MB এর মধ্যে থাকেডাউনলোড রিজিউম সাপোর্টেড

ফ্রি মুভি ডাউনলোডের মধ্যে আর একটি হলো yourpcmovies এর সকল মুভি মিডিয়াফায়ারে আপলোড করা এটার মধ্যে সাবটাইটেল বিল্ডইন করা থাকে মুভি গুলোতেতাছাড়া ও লেভেল ট্যাগ থাকে মুভির ধরন অনুযায়ীএর বেশীর ভাগ মুভিই 300mb-700mb এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে

যাদের লিমিটেড ব্যান্ডউইথ তারা 300mbunited নামে সাইটটি থেকে মুভি ডাউনলোড করে বেশ আরাম পাবেনএই খানে আপনি বিভিন্ন ফাইলহোষ্টিং সাইট (রেপিডশেয়ার,মিডিয়াফায়ার,হটফাইল ইত্যাদি)থেকে রিজিউম সাপোর্ট সহ মুভি ডাউনলোড করতে পারবেনএর সাথে আপনি মুভির সাবটাইটেল ও ডাউনলোড করতে পারবেনতবে একট জিনিস এই সাইটের ক্যাটাগরি লিষ্টটা বেশ বড়

মিডিয়াফায়ারের লিংক এ আপলোড করা ছোট সাইজের মুভি ডাউনলোডের আর একটি সাইট হচ্ছে 300mbfilms এই খানে মুভির ডেটাবেজ কিছুটা কম অন্যদের তুলনায়

অপেক্ষাকৃত ভালো প্রিন্টের মুভি ডাউনলোডের ক্ষেত্রে oneclickmoviez অনেক দিন ধরেই জনপ্রিয়তবে এই খানের মুভি গুলো মিডিয়াফায়ারে আপলোড করা না

মিডিয়াফায়ারে আপলোডেড মুভি সাইট গুলোর মধ্যে mediafire4u অন্যতমতবে এর কালেকশন অত সমৃদ্ধ নয়

HD রিপের মুভি ডাউনলোডের জন্য urgrove সাইটটিকে মোটামুটি বেছে নেওয়া যায়এর সব মুভিই মিডিয়াফায়ারে আপলোডকৃত



মুভি ডাউনলোডের আরেকটি সাইট হচ্ছে dllinks এই খানে কিছু মুভি পাওয়া যাবে যেগুলোর হয়তো নাম শুনি না আমরা খুব একটা

mediafireheaven.ucoz কে ঠিক পুরোপুরি মুভি ডাউনলোড সাইট না বলতে গেলে এটা মাল্টিপল সাইটএই খানে মুভি,বিভিন্ন ইংলিশ টিভি সিরিজ ইত্যাদি ডাউনলোড করা যাবে

আপনার চোখ এড়িয়ে যাওয়া অনেক সুন্দর মুভি গুলো আপনি হয়তো পেতে পারেন এই getmediafire নামক সাইটটি তেএইখানের সব মুভিই আপনার মিডিয়াফায়ারে আপলডেড

DIVX ফরমেটেড মুভি ডাউনলোডের আদর্শ জায়গা হল divxcrawler সাইটিযদিও এই খানে মেম্বারশিপের জন্য টাকা লাগে তারপরও আপনি কিছু মুভি ফ্রি ডাউনলোড করতে পারবেন

300mb এর মধ্যে HD প্রিন্টের মুভি ডাউনলোড করতে চাইলে 300mbrips.net সাইটটিতে আপনাকে একটি বারের জন্য হলেও যেতে হবে

MKV ফরমেটে ছোট সাইজের ভাল প্রিন্টের মধ্যে মুভি ডাউনলোড করতে চাইলে tinymkv এর জুরি নেইআপনি এখানে mkv ফরমেটে প্রায় সকল নতুন-পুরাতন মুভি পাবেন

MKV ফরমেটে আরো ভালো প্রিন্টের মুভি নামাতে আপনি 300mkvmovies নামক সাইটটিতে একবার ঘুরে আসতে পারেন

HD ফরমেটে মুভি ও ইংলিশ টিভি সিরিয়াল ডাউনলোডে আদর্শ সাইট হলো megarelease এইখানে একটাই সমস্যা ডাউনলোডে আর তা হল ডাউনলোড লিংক গুলো মিডিয়াফয়ার এর নয়

আমি প্রায়ই ইতালিয়ান বা স্প্যানিস মুভি গুলো দেখিকারণ ঐসব মুভির মেকিং গুলো একটু অন্য রকমতো এই সব মুভি সংক্রান্ত যাবতীয় মালমশলা পাবেন আপনি mymovies নামক সাইটটিতে

আপনি যদি কোরিয়ান,জাপানিজ মুভির ফ্যান হয়ে থাকেন তাহলে mysoju সাইটি আশা করি আপনার সকল চাহিদা মেটাবে

dramacrazy তে আপনি কোরিয়ান,জাপানিজ,তাইওয়ানের মুভি ও ড্রামা সিরিজ এর সকল লিংক পাবেন ডাউনলোডের

এই রকম আর একটি সাইট হলো dramafever এই খানে আপনি কনটেন্ট গুলো পাবেন আরো গোছানো ও ঠিক আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী

আপনি যদি সহজে কোরিয়ান মুভি খুঁজে পেতে চান তা হলে আপনি freekoreanmovies ওয়েব সাইটিতে যেতে পারেন

icefilms.info নামক সাইটটি তে আপনি পাবেন বেশ গোছানো কনটেন্টতাছাড়া ও এর মুভি ডেটাবেজ বেশ উন্নত অন্যদিকে এই খানে আপনি অনেক টিভি সিরিয়াল ও ডাউনলোড করতে পারবেন

অনেকেই হয়তো এনিমেটেড মুভি ও সিরিয়াল দেখে থাকেন,আর এই সব ডাউনলোডের জন্য আদর্শ হলো anivoid কারণ এতে আপনি প্রায় সবধরনেই এনিমেটেড আইটেম পাবেন

এনিমে মুভি ও সিরিজ ডাউনলোডের আর একটি জনপ্রিয় সাইট হল adc-distro এই খানে যেকোন এনিমে সিরিজ এর তারিখ সহ সিরিজ এর পার্ট লিখা থাকে,যার ফলে সহজেই আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ডাউনলোড করে নিতে পারবেন

আপনি এনিমে ফ্যান হলে এই সাইট থেকে animenewsnetwork বিভিন্ন নিউজ পাবেন এনিমে মুভি সম্পর্কিততাছাড়া আপনি এই সাইট anime4psp থেকে এনিমে মুভি,টিভি শো mp4 আকারে ডাউনলোড করতে পারবেন

হিন্দী মুভি ডাউনলোড করতে চাইলে আপনি moviesmobile সাইটে ঢুকতে পারেনযদি ও এর প্রিন্ট খুব একটা ভালো হয় না

একদমই ছোট আকারের মুভি ডাউনলোড করতে চাইলে ও 3gp আকারে মুভি ডাউনলোড করতে চাইলে
timpug এ যেতে পারেন

আপনি মোবাইল থেকে মুভি ডাউনলোড করতে চাইলে movietv সাইটে যেতে পারেন

এইটা একটু অন্য রকমযদি একটু উচ্চমার্গীয় বড়দের মুভিদেখতে চান তাহলে erosddl সাইটে আসতে পারেন

হিন্দি মুভি ডাউনলোডের আরো একটি সাইট হলো bdmovie.webs

আপনি যদি হিন্দী মুভির পাগল হয়ে থাকে এবং পুরাতন হিন্দী মুভি খুঁজতে থাকেন তাহলে bharatmovies bollywoodwiki lucky88 এই সাইটগুলো আপনাকে সাহায্য করবে

একটা সময়ে ইরানি মুভি ছিল বিশ্ব বিখ্যাত আপনি চাইলে arianworld iranproud এই দুটি সাইট থেকে মুভি ডাউনলোড করতে পারেন

মাঝে মাঝে বাংলা মুভি ও দেখা হয়তো বাংলা মুভি ডাউনলোডের দুইটা সাইট হলো doridro moviesfrombd

Blogger templates

.