অদ্ভুত সব প্রযুক্তিপণ্য

|
প্রযুক্তির অনেক পণ্যই তৈরি হয় মানুষের কাজে সাহায্য করতে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন পর্যন্ত অনেক পণ্যই মানুষের জীবনযাত্রা পাল্টে দিয়েছে। তবে, কিছু পণ্য ঋনেক যত্ন নিয়ে তৈরি করা হলেও শেষ অব্দি একেবারেই হাস্যকর বলে প্রমাণিত হয়। এমন কিছু পণ্য নিয়েই এ ফিচার।


আইপড টয়লেট ডক
আইপড টয়লেট ডক দেখলেই মনে হয়. মানুষের জীবনযাত্রায় সঙ্গীতের সঙ্গে জড়িত ডিভাইসগুলো কতোটা স্থান দখল করেছে। টয়লেট পেপার রাখার স্থানে এটি স্থাপন করে রাখার ব্যবস্থা আছে। এ টয়লেট ডকটি আদতে অ্যাপলের তৈরি আইপড রাখার জন্য একটি ডিভাইস।


যান্ত্রিক মোবাইল ফোন
লেডিস্ক মেকানিকাল সেল ফোনটি দেখতে খুবই সুন্দর। এটি তৈরি করেছে ফ্রেঞ্চ কোম্পানি সেলসিয়াস X-VI-II। এটি দেখতে আধুনিক মোবাইল ফোনগুলোর মতোই। কেবল সমস্যা হলো এ মোবাইল ফোনটির সামনে থাকা ঘড়িটি চালাতে গিয়ারের প্রযোজন হয়।



টোস্ট প্রিন্টার
টোস্ট তৈরির নকশা নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক। কিন্তু এ বিষয়টির তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে, জুসি টোস্ট প্রিন্টার নামের একটি প্রিন্টার টোস্টের ওপর বিভিন্ন নকশা আঁকতে পারে। এটি ১২X১২ পিক্সেল আকারে টোস্টের ওপর ছবি প্রিন্ট করতে পারে।

কম্বিমাউস
কম্পিউটার মাউস হিসেবে এ ডিভাইসটির দেখতে আর দশটা সাধারণ মাউসের মতো নয়। এ মাউসটির বাম দিকে রয়েছে একটি স্টেশনারি কিবোর্ড এবং ডান দিকে নড়াচড়া করানো যায় এমন কিবোর্ড এবং মাউস।

ঘুর্ণনশীল চামচ
যখন তখন বা জীবনে কোনো একবার এমন কোনো ডিভাইসের সামনে পড়তে হয় যা জীবনকে পাল্টে দেয়। সেরকমই একটি ডিভাইস হলো স্প্যাগেটি ফর্ক।

মস্তিষ্কতরঙ্গচালিত হেডফোন
নিউরোস্কাই মাইন্ডসেট নামের এ হেডফোন সাধারণ আর দশটা হেডফোনের মতো নয়। এ ডিভাইসটিতে রয়েছে ‘মেডিকেল গ্রেড ব্রেইনওয়েভ সেন্সর’। এ সেন্সরটি মস্তিষ্কতরঙ্গ পড়তে পারে। এ ছাড়াও ব্যবহারকারির মেজাজ-মর্জি এ হেডফোনটি কম্পিউটার স্ক্রিনে ফুটিয়ে তুলতে পারে। এ হেডফোনটিতে কানের জন্য ‘উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার’ নামে একটি ফিচার রয়েছে।

কুকুরের জন্যও ডিজিটাল ক্যামেরা
কুকুর কি কি করছে সেটি নজর রাখার জন্য তার পেছনে আর ছোটাছুটির প্রয়োজন হবে না। কুকুরের গলায় একটি ডিজিটাল ক্যামেরা বেঁধে দিলেই হলো। পেস্ট আই ভিউ নামের এ ডিজিটাল ক্যামেরাটি প্রতি এক মিনিট, ৫ মিনিট এবং ১৫ মিনিট পরপর ছবি তুলে মালিকের কাছে তা পাঠিয়ে দিতে পারে।

স্বচালিত সুটকেস
সুটকেসে চাকা লাগানোর বিষয়টি অনেক পুরোনো। তবে, নিজেই গড়িয়ে গড়িয়ে যেতে পারে এমন সুটকেসও বেশ মজার। কেবল ছেড়ে দিলেই হলো, এ সুটকেস নিজেই চলতে থাকবে। সুটকেসে লাগানো আছে একটি মোটর। ব্যাটারিতে চলা এ সুটকেসটি ঘন্টায় ৩ কিলোমিটার গতিতে গড়াতে পারে।

Blogger templates

.
Recommended Post Slide Out For Blogger