
ইন্টারনেট সিকিউরিটি ফার্মগুলো জানিয়েছে, এই ভাইরাস আক্রমণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা এবং ভারতের কর্পোরেট অফিসগুলো। 'মিলিসেনসো' প্রথম আবিষ্কার হয় ২০১০ সালে। এরপর থেকে একাধিকবার এই ভাইরাসটি ব্যবহার করেছে হাই-টেক ক্রাইম গ্রুপগুলো।
সিমেনটেক জানিয়েছে, মিলিসেনসো পিসিতে আক্রমণ করে একাধিক উপায়ে। কখনো ইমেইলের সঙ্গে অ্যাটাচমেন্ট ফাইল হিসেবে, কখনো নকল ভিডিও ডিকোডার হিসেবে, আবার কখনো বা ভাইরাস আক্রান্ত ওয়েবসাইট থেকে। আর পিসিতে আক্রমণ করার পর ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন পোস্ট করা শুরু করে ভাইরাসটি।
সিমেনটেক আরো জানিয়েছে, কর্পোরেট অফিসগুলোর প্রিন্টারে কমান্ড ছাড়াই উল্টোপাল্টা লেখা প্রিন্ট করা এই ভাইরাসটিরই একটি সাইড ইফেক্ট। ভাইরাসটির ভিকটিমরা তাদের অভিজ্ঞতা ইন্টারনেটের ফোরামগুলোর ডিসকাশন বোর্ডে শেয়ার করে জানান যে, ভাইরাসটির আক্রমণে অফিস প্রিন্টারগুলোর একরকম পাগল হবার দশা হয়েছিলো। প্রায় থেমে গিয়েছিলো প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড।
ইন্টারনেট সিকিউরিটি ফার্মগুলো ইতোমধ্যেই মিলিসেনসোর আক্রমণ ঠেকাতে অ্যান্টিভাইরাস আপডেট ইস্যু করেছে। মিলিসেনসোর নতুন ভার্সনটি পিসিতে আক্রমণ করার আগেই তা ঠেকিয়ে দেবে অ্যান্টিভাইরাস আপডেটগুলো এবং ভাইরাস আক্রান্ত ফাইলগুলোকে ইনফেকশন মুক্ত করবে।
