বিশ্বের ভয়ংকরতম দুর্ধর্ষ সংগঠনসমূহ

|
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন নামের,ধরণের ভয়ংকর কিছু সংগঠন যাদের কথা ও কাহিনী রীতিমত অন্যান্য সংগঠনের চেয়ে আলাদা।কেউ নিজস্ব অন্চলজুড়ে,কেউ বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তারকারী হিসেবে আবির্ভূত।কেউ সমাজের উপকারে দেশের প্রয়োজনে নিয়োজিত।আবার কেউ নিয়োজিত নিজের প্রয়োজনে তা সমাজের উপকার বা অপকার যাই হউক না কেন।এমনই কিছু দুর্ধর্ষ সংগঠন নিয়ে আলোচনা:

৫।নেভী সিল:


আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার মিশনে অংশ নিয়েছিল সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মার্কিন নৌবাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিট, যার নাম 'ইউএস নেভি সিল'। ওসামাকে আটক বা হত্যার জন্য কয়েক বছরের পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু তা বাস্তবায়নে সময় লেগেছে মাত্র ৪০ মিনিট। পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের ওই অভিযানে অংশ নেওয়া ইউনিটটি 'সিল টিম ৬' নামে পরিচিত। ৪০ জনের মতো কমান্ডো এ অভিযানে অংশ নিলেও দুই ডজনেরও কম সেনা হেলিকপ্টার থেকে ওসামার বাড়ির চত্বরে নেমেছিল। ওসামাকে হত্যা করতে গিয়ে তাদের গায়ে এতটুকু আঁচড়ও লাগেনি।



কাগজ-কলমে নেভি সিলের নাম নেভাল স্পেশাল ওয়্যারফেয়ার ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ। তবে ডেভগ্রু নামেই এটি বেশি পরিচিত।
এ বাহিনীর সবাই সেরা কমান্ডো। অত্যন্ত গোপন কোনো অভিযান পরিচালনার জন্য পাঠানো হয় এ বাহিনীকে। তাদের হাতে রয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি। তাদের সরঞ্জাম সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানা গেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক ব্লাকহক হেলিকপ্টার, মনুষ্যবিহীন বিমান, দূর নিয়ন্ত্রিত রোবট, দ্রুত রং পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা চশমা, উড়াল গাড়ি প্রভৃতি।



বিন লাদেনকে হত্যার মুহুর্তে

হত্যার পর

অত্যাধুনিক ব্লাকহক হেলিকপ্টার : অ্যাবোটাবাদের অভিযানে নেভি সিলের যে কটি হেলিকপ্টার অংশ নিয়েছিল, সেগুলোর একটি কারিগরি ত্রুটির কারণে বিন লাদেনের বাড়ির চত্বরে বিধ্বস্ত হয়। এটি তৈরির প্রযুক্তি যাতে অন্যদের হাতে না যায়, সে জন্য বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি ধ্বংস করে ফেলা হয়। কিন্তু এর পেছনের কিছু অংশ সীমানাপ্রাচীরের ওপর পড়ে ছিল। সেটি দেখেই বোঝা যায় এটি আসলে সাধারণ কোনো ব্লাকহক হেলিকপ্টার ছিল না। পেছনের পাখাগুলো ছিল সাধারণ পাখার চেয়ে অতিমাত্রায় পাতলা। প্রচণ্ড জোরে ঘুরলেও এর শব্দ অনেকটাই ক্ষীণ। একইভাবে তৈরি মূল পাখাগুলোও। এ কারণে অনেকটাই নিঃশব্দে উড়ে বেড়াতে পারে এ হেলিকপ্টার। এসব হেলিকপ্টার ইনফ্রারেড সেন্সর দিয়েও চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না। বিন লাদেনের কাছে বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র থাকলেও এ হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে ছোড়া সম্ভব হতো না।
মনুষ্যবিহীন বিমান : লকহিড আরকিউ-১৭০ সেন্টিনেল নামের মনুষ্যবিহীন এ বিমানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র থাকে না। লাদেনের বাড়িতে চালানো অভিযানে নজরদারি করা হয়েছে এ বিমানের সাহায্যে। কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে এ বিমান থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিওচিত্র দেখে কমান্ডোরা ওই বাড়ির চত্বরের কোথায় কে আছে, তা দেখে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের কয়েক মাস আগে থেকেই পাকিস্তানের রাডারকে ফাঁকি দিয়ে এ বিমানের সাহায্যে লাদেনের বাড়ির ওপর নজরদারি করা সম্ভব ছিল।
দূরনিয়ন্ত্রিত রোবট : নেভি সিল ২০০৯ সালে মার্কিন কম্পানি রেকন রোবটিকসের তৈরি করা এ রোবট কেনে। এর আকার বিয়ারের ক্যানের মতো। ইনফ্রারেড ক্যামেরার সাহায্যে এ রোবট অন্ধকারেও ঘটনাস্থলের ভিডিওচিত্র ধারণ করে তারবিহীন ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে অপারেটরের কাছে পাঠাতে সক্ষম। রেকন রোবটিকস পুলিশ বাহিনীর কথা মাথায় রেখে এ রোবট তৈরি করেছে। সম্প্রতি মার্কিন নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে তারা এ রোবটের উন্নত সংস্করণ তৈরি করতে সক্ষম হয়। চুম্বকের সাহায্যে এ রোবট জাহাজের গা বেয়ে ডেকেও উঠে যেতে পারে।
দ্রুত রং পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা চশমা : মার্কিন নেভির গবেষণা দপ্তর জানিয়েছে, গত জানুয়ারিতে তারা সিল সদস্যদের জন্য প্রথম ৩০ জোড়া এ ধরনের নিরাপত্তা চশমা সরবরাহ করেছে। এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক স্টিফেন এভারেট বলেন, কমান্ডোরা সাধারণত একে অপরের মধ্যে বিনিময়যোগ্য লেন্সের চশমা ব্যবহার করে। নির্দিষ্ট আলোতে তারা হাতের সাহায্যেও এর লেন্স ঠিক করতে পারে। তবে এটা করতেও তারা কোনো সময় পায় না। তাই দ্রুত রং পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা চশমার ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন বৈদ্যুতিক চার্জের মাধ্যমে এ চশমা হলুদাভ, নীল বা ধূসর রং ধারণ করতে পারে। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ চশমা রং বদলাতে পারে। আবার কমান্ডোরা চাইলে হাতের সাহায্যেও বাটন টিপে চশমার রং বদলাতে পারে। আর এই রং বদলাতে আধা সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে।
উড়াল গাড়ি ট্রান্সফরমার টিএঙ্ : দুর্গম এলাকায় নেভি সিলের মতো বিশেষ বাহিনীর কমান্ডোদের বহনের জন্য উড়াল গাড়ি তৈরি প্রক্রিয়াধীন। এক ট্যাংক জ্বালানি দিয়ে এ যান ২৫০ নটিক্যাল মাইল যেতে পারবে। জিপ গাড়ির পাশাপাশি এর ওপরের অংশে থাকবে হেলিকপ্টারের প্রপেলার। গাড়ি হিসেবে চলার সময় ওপরের পাখা ভাঁজ করে রাখা যাবে। আবার ওড়ার দরকার হলে পাখা খুলে হেলিকপ্টারের মতো উড়ে যাবে এ গাড়ি।


৪।আল কায়েদা:

মধ্যপ্রাচ্যের কিছু ভীতি জাগানিয়া বিহেডিং(জবাই,সরাসরি শিরোচ্ছেদ) ভিডিও কমবেশী সবাই দেখেছে।এখানে তা আর দিলাম না।তবে এসব ঘটনার অধিকাংশের সাথেই আল-কায়েদাযুক্ত।

এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা নেভীসিলের হাতে নিহত ওসামা বিন লাদেন।ওসামা বিন লাদেন, আরবের এই ধনকুবের তরুনের রাজনৈতিক মতাদর্শ-যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার মুহুর্তগুলো সম্বন্ধে খুব বেশি জানা যায় না। পাকিস্থানের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লাদেন বিষয়ক গবেষক হামিদ মীর এর সংকলিত জিও টেলিভিশনে প্রদর্শিত তথ্য থেকে জানা যায়, আরবে ধনকুবের পরিবারে জন্মগ্রহণকারী ওসামা অসংখ্য ভাই-বোনদের মধ্যে আলাদা স্বভাব-সহজ সরল অভিব্যক্তি নিয়ে বড় হয়েছেন। শৈশবে পিতার কাছে আবদার করেছিল একই দিনে মক্কা-মদিনা-আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায়ের। পিতা তার অনুরোধ রক্ষা করেছিলেন। তারপর ওসামা শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করেন এবং উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। সংবাদ তথ্যের মতে, তরুন ওসামার রাজনৈতি দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ তখনও ঘটেনি। ওসামা বিন লাদেনের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে আবির্ভাব আফগানিস্থানে সোভিয়েত অগ্রাসনের পরে।




ওসামার রাজনৈতিক সংগঠন আল-কায়দার প্রতিষ্ঠা লগ্নটি লক্ষ্যণীয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগান আগ্রাসনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো পৃথিবীর সমস্ত মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানায় যে, যেন মুসলমানরা মুজাহিদীনদের সঙ্গে যুক্ত হয়। এরই প্রেক্ষিতে ১৯৮২ সালে পাকিস-ানের পেশোয়ারে ফিলিসি-ন নাগরিক ড. আবদুল্লাহ আজম এবং কথিত আলেমদের একটি গ্রুপ ‘মক্তব-ই-আল খিদমত’ নামের সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ওসামা তখন ছিলেন আবদুল্লাহ আজমের প্রধান সহকারী। এ সংগঠনটির প্রধান অর্থদাতা ছিলেন ওসামা। ঐসময় ওসামা এ সংগঠনটিকেই তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি ডলার সাহায্য প্রদান করে। একই সঙ্গে এ সংগঠনটিকে সিআইএ এবং পাকিস-ানের আইএইআই অর্থ যোগান দিত। এর আগে ১৯৮০ সাল থেকেই আবদুল্লাহ আজমের সঙ্গে ওসামার মতভিন্নতা দেখা দেয়। আবদুল্লাহ চাচ্ছিল ওসামা ব্যবসা বাণিজ্য করুক, তাদের অর্থ সাহায্য দিক। কিন’ ওসামার ইচ্ছে ছিল শুধু অর্থ যোগান দাতা নয়, মুজাহিদ হয়ে সরাসরি যুদ্ধ করবেন। আজম তাতে রাজী না হওয়ায় ওসামা কিছু আরব মুজাহিদকে নিয়ে নতুন সামারিক বাহিনী গড়ে তোলে। অচিরেই ওসামার যুদ্ধরীতি মুজাহিদদের মধ্যে বিশেষ করে আরবীয় তরুনদের মধ্যে তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। গঠিত হয় আরব ব্রিগেড। এই ব্রিগেড সোভিয়েত গ্যারিসনের ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে ঘাটি করে এবং অসামান্য সাফল্য লাভ করে। ওসামা তার সাহসী ব্রিগেডের নাম দেন ‘মাসাদা’ বা সিংহের বাচ্চা। ১৯৮৭ তে জালিগ্রামের যুদ্ধটি ওসামাকে আন-র্জাতিক মিডিয়ার সামনে এনে দেয়।


ব্যপক পরিচিতি আসে তখনই। এ যুদ্ধে মিশরীয় দুই যোদ্ধা ওসামার সঙ্গে ছিলেন। এর কিছু পরেই মিশরীয় সার্জন আইমান আল-জাওয়াহীরি ওসামার সহগামী হন। তখন জাওয়াহীরির ভূমিকা ছিল যুদ্ধাহত মুজাহিদদের চিকিৎসা করা। ১৯৮৮ সালে ড. আবদুল্লাহ জিহাদ নামক একটি ম্যাগাজিনে ‘আল-কায়দা’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। যার মর্মার্থ হলো “ভিত্তি”। ড. আবদুল্লাহ তখনও সামরিক অর্থে আল-কায়দা শব্দটি ব্যবহার করেনি। মূলত আবদুল্লাহ সাংগঠনিক নামকরণ করেন “আল-কায়দা আল-সালবাহ” বা ‘নির্ভেজাল ভিত্তি’। এখানে ওসামা বিন লাদেন এর সঙ্গে ড. আবদুল্লাহর মতভেদ দেখা দেয়। ওসামা বিশ্বাস করতে শুরু করেন তাবৎ মুসলিম বিশ্বথেকে দুঃশাসকদের উৎখাত করতে হবে। তাদের দ্বন্দের প্রেক্ষিতে ওসামা ‘আল-সালবাহ’ অংশটুকু বাদ দিয়ে ‘আল-কায়দা’ নামের সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এর এক বছর পর গুপ্ত ঘাতকের হাতে ড.আবদুল্লাহ আজম নিহত হন। ধারণা করা হয় ওসামার অনুসারীদের হাতে তার মৃত্যু ঘটে। পরবর্তীতে যখন ১৯৯৮ ইং সালের ফেব্রুয়ারীতে ওসামা “দ্যা ইসলামিক ওয়ার্ল্ড ফ্রন্ট” গঠন করেন। ইসরাইলের কবল থেকে ফিলিসি-নকে রক্ষার উদ্দেশ্যে গঠিত এ সংগঠনটি। আল-কায়দার বেশিরভাগ শীর্ষনেতাই মিশরীয় বংশোদ্ভুত। এবং এটি অল্প ক’বছরের মধ্যে প্রায় চল্লিশটি দেশে তার অনুসারীদের সংগঠিত করার চেষ্টা করে। এর পরে ঘটে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুঃসাহসিক ভয়াবহ ঘটনা। হাজার হাজার মার্কিনীদের হত্যার মধ্য দিয়ে আল-কায়দা তার নির্দয় রূপ প্রকাশ করে। তখনই আফগান ঘাটিতে থাকা ওসামা সকল দৃশ্যপটের অন-রালে চলে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তখন ঘা খাওয়া ভল্লুকের মতো। যার প্রকাশ্য রূপ ঘটে মার্কিনীদের রক্তপাত ও যুদ্ধনীতিতে। ইতিপূর্বে ১৯৯৩ সালেও পাকিস্তানী নাগরিক রামজি ইউসুফের নেতৃত্বে ট্রেড সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টায় ছয় জন নিহত হয়েছিল। কিন’ ৯/১১ এর ধাক্কা মার্কিন প্রশাসনকে রক্তপিপাসু করে তোলে।



বর্তমান প্রধান ড.আইমান আল জাওয়াহিরি

লাদেন পরবর্তীপ্রধান সাইফ আল-আদেল

ওসামা অধ্যায়ের শেষ হয়েছে। এ কথাটি কেবল ব্যক্তি ওসামাকে নিয়ে বলা যায়। কিন্তু ওসামার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি-উদ্দেশ্য এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সমপ্রসারণবাদী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বা হতাযজ্ঞ সহজে উধাও হয়ে যাবে না।আল কায়েদা থাকবে আরও বহুবছর।



৩।সিআইএ:

ব্লগার অনিক আহসানভাইয়ের ব্লগ হতে সংগৃহীত।তিনি এত সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন যে আর নতুন করে বলার কিছু নেই।

মার্কিন গোয়েন্দাসংস্হা সিআইএর কথা কে না জানে।যে সংগঠনের ভর্তি হওয়া প্রতিটি মানুষই হয় দুর্ধর্ষ,চতুর,অস্ত্র চালনায় পারদর্শী।বলা হয়ে থাকে বিশ্বের প্রতিটি দেশেই সিআইএর কমান্ডো আছে।যারা যে কোন মুহুর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন স্বার্থ রক্ষার্থে যে কোন কিছু করতে দুনিয়ার যে কোন যায়গায় সদা প্রস্তুত।যার সম্পর্কে এতগুলো যে কোন যখন লেখা যায়,বুঝুন সে কতটা দুর্ধর্ষ।

যোগাযোগঃ
https://www.cia.gov/




স্থাপিতঃ ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭
কর্মী সংখ্যাঃ অজ্ঞাত,সম্ভাব্য সংখ্যা ২০,০০০
সদর দপ্তরঃ জর্জ বুশ সেন্ট্রার ফর ইন্টেলিজেন্স,ভার্জিনিয়া ,ল্যাংলী।
জবাবদিহিতাঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সংস্থা প্রধানঃ ডেভিড পেট্রাউস
বিভাগ: মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিভাগ MENA ,দক্ষিন এশিয়া বিভাগ OSA,রাশিয়ান ও ইউরোপিয়ান বিভাগ OREA ,এশিয়া প্যাসিফিক,ল্যাটিন আমেরিকা, ও আফ্রিকা বিভাগ (APLAA)।
বাজেটঃ ২৬ বিলিয়ন ,ঘোষিত।
মুল দায়িত্বঃ এতোটাই বিশাল যে সম্পুর্ন বর্ননা কঠিন।সাধারন ভাবে বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, গুপ্ত হত্যা, বৈদেশিক নীতি নির্ধারনে সহায়তা, কাউন্টার টেররিজম, নিজেস্ব লোক সংগ্রহ ও নেটওয়ার্ক তৈরী,বিদেশী কুটনৈতিকদের ওপর নজরদারি,শত্রু এজেন্টদের সন্ধান,সাইবার ওয়ার্ফেয়ার পরিচালনা, নতুন প্রযুক্তি সংগ্রহ,ক্ল্যান্ডেস্টাইন অপারেশন পরিচালনা,ড্রোন আক্রমন,গুপ্ত কারাগার পরিচালনা,বিশ্বের বড় বড় কর্পোরেশন গুলির নীতি নির্ধারনের চেস্টা,ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্পিওনাজ।
স্ট্রাকচারঃ



প্রধান বিচরন এলাকাঃ সমগ্র সৌরজগত
প্রধান প্রতিদন্দীঃ এম এস এস, এফ এস বি,আল কায়েদা
বিখ্যাত অপারেশনঃ বে অব পিগস হামলা,বিন লাদেন হত্যা, অপারেশন ফোনিক্স (ভিয়েতনাম), অপারেশন গ্লাডিও।



২।মোসাদ
মোসাদের কথা শুনলেই অপারেশন থান্ডারবোল্ট এবং ইহুদীদের ব্যাপারটা মাথায় চলে আসে।আরব বিশ্বের মাঝে সামান্য জায়াগা ইসরাইলে ইহুদীদের একটু মাথা গোজার জায়গা করে দেওয়ার জন্য যা কিছু দরকার তার সবকিছুই করতে পারে তারা,তা আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন।
স্থাপিতঃ ১৩ ডিসেম্বর ১৯৪৯
কর্মী সংখ্যাঃ অজ্ঞাত,সম্ভাব্য সংখ্যা ১২০০
সদর দপ্তরঃ তেল আভিভ ইসরাইল
জবাবদিহিতাঃ প্রধানমন্ত্রী
সংস্থা প্রধানঃ তামির পারদো
মোটোঃ "Where there is no guidance, a nation falls, but in an abundance of counselors there is safety."
বাজেটঃ অজ্ঞাত
মুল দায়িত্বঃ এতোটাই বিশাল যে সম্পুর্ন বর্ননা কঠিন।সাধারন ভাবে বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, গুপ্ত হত্যা, বৈদেশিক নীতি নির্ধারনে সহায়তা, কাউন্টার টেররিজম, নিজেস্ব লোক সংগ্রহ ও নেটওয়ার্ক তৈরী,বিদেশী কুটনৈতিকদের ওপর নজরদারি,শত্রু এজেন্টদের সন্ধান,সাইবার ওয়ার্ফেয়ার পরিচালনা, নতুন প্রযুক্তি সংগ্রহ,ক্ল্যান্ডেস্টাইন অপারেশন পরিচালনা,ড্রোন আক্রমন,গুপ্ত কারাগার পরিচালনা,বিশ্বের বড় বড় কর্পোরেশন গুলির নীতি নির্ধারনের চেস্টা,ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্পিওনাজ।

প্রধান বিচরন এলাকাঃ সমগ্র সৌরজগত
প্রধান প্রতিদন্দীঃ এমএসএস,এফ এস বি,এম আই এস আই আর আই ,হিজবুল্লাহ ,হামাস ।
বিখ্যাত অপারেশনঃ আর্জেন্টিনায় আইখম্যান হান্ট ১৯৬০,হেবাররত চুকারস হত্যা ১৯৬৫, অপারেশন ডায়মন্ড১৯৬৩-৬৬, ১৯৭২ সালের মিউনিখ অলম্পিকে হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ, অপারেশন জেরাল্ড বুল কিলিং১৯৯০,আতেফ বেইসো হত্যা১৯৯২, মোহাম্মদ আল মাবহু হত্যা ২০১০।




১।মাফিয়া

বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকরতম দুর্ধর্ষ সংগঠনগুলো হল মাফিয়াচক্রগুলো।এরা নিজের প্রয়োজনে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকেও গুলি করতে পিছপা হয় না।মূলত শান্তিমত ব্যবসা-বাণিজ্য ও বৈধ-অবৈধ যে কোন পথে মুনাফা অর্জনই এদের প্রধান কাজ।বাধা আসলেই আক্রমণ,গুপ্তহত্যা।"ওমের্তা" বা "মুখবন্ধ" এখানকার মূলমন্ত্র।এখানে রিক্রুটমেন্টের মূলমন্ত্র হল কিছু নির্দিষ্টব্যাক্তিব্যাতীত যে কেউ চাইলেই ভর্তি হতে পারবে,কিন্তু অবসরে যেতে পারবেনা।

মাফিয়াদের দশটি নিয়ম মেনে চলতে হয়।

-কেউ সংগঠনের বন্ধুদের সাথে সরাসরি দেখা করতে পারবেনা।অবশ্যই তৃতীয় কোন ব্যাক্তির উপস্হিতি থাকতে হবে।
-কেউ বন্ধুর স্ত্রীর দিকে নজর দিতে পারবেনা।
-কখনও পুলিশের সাথে প্রকাশ্যে দেখা যাওয়া চলবে না।যা হবে সব গোপনে।
-পাব'স এবং ক্লাবে যাওয়া চলবেনা।
-কোসা নস্ট্রার(সংগঠন) জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।এমনকি স্ত্রীর বাচ্চা প্রসবের সময়েও।
-সাক্ষাৎকারীকে সর্বদা শ্রদ্ধা করতে হবে।
-স্ত্রীদের অবশ্যই সম্মান করতে হবে।
-প্রাপ্ততথ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে অবশ্যই সত্য কথা বলতে হবে।
-অন্য পরিবারগুলোর টাকার ব্যাপারে সদা সচেতন থাকতে হবে,অন্য পরিবারের টাকা সঠিক নাও হতে পারে।
-তারাই সংগঠনে ভর্তি হতে পারবে না:

*যার পুলিশে কোন নিকটাত্মীয় আছে।
*যদি কোন মাফিয়া পরিবারে কারও দুই-টার্মের আত্মীয় থাকে।
*যে দুর্ব্যবহার করে এবং উপদেশ অগ্রাহ্য করে।


মাফিয়া নিয়ে তৈরী করা বিখ্যাত চলচ্চিত্র হল দ্য গডফাদার।

গডফাদার ছবিতে মাফিয়া ডন ভিটো কর্লিয়োনির চরিত্রে মার্লোন ব্রেন্ডো


গডফাদার ছবিতে মাফিয়া ডন মাইকেল কর্লিয়োনির চরিত্রে আল পাচিনো

বাস্তব জগতের মাফিয়া ডনরা:

আল ক্যাপোনি(যুক্তরাষ্ট্র)


স্যামিয়ন যুদকোভিক(রাশিয়া)



দাউদ ইব্রাহিম(ভারত)

Blogger templates

.
Recommended Post Slide Out For Blogger