
মাইক্রোওয়েব ওভেন বিংশ শতাব্দির অন্যতম আবিষ্কারগুলোর একটি। আজকের ফাস্ট লাইফকে আরও ফাস্ট করেছে এই ওভেন। এই ওভেনে খাদ্য গরম বা রান্না করতে খুব কম সময় লাগে এবং বিদুৎ খরচও কম। উন্নত বিশ্বে এই ওভেন ছাড়া জীবন কল্পনাই করা যায় না। কারন প্রতিদিন রান্না করার মত সময় কারো নাই। মাইক্রোওয়েব ওভেনের ব্যবহার বাংলাদেশে এখনও খুব কম।
"মাইক্রোওয়েব ওভেন" নাম থেকেই বুঝা যায়, এর ক্ষমতার উৎস মাইক্রোওয়েব যার ফ্রিকোয়েন্সী প্রায় ২৫০০ মেগাহার্জ। এই তরঙ্গগুলোর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হল: ১) পানি, চর্বি, চিনি ও প্রায় সব ধরনের খাদ্যবস্তু এই তরঙ্গগুলো শুষে নেয়। তখন এইসব বস্তুর পরমাণুর মধ্যে সৃষ্টি হয় কম্পন, কম্পন থেকে তাপ এবং সেই তাপেই গরম হ্য় খাদ্যবস্তু।
২) প্লাষ্টিক, কাঁচ ও সিরামিক জাতীয় পদার্থ এই তরঙ্গগুলো শুষে নেয় না, অর্থাৎ এদের মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া হয় না।
৩) ধাতু এধরনের তরঙ্গ রিফ্লেক্ট করে। তাই এই ওভেনে ধাতুর কোন বস্তু ব্যবহার করা যায় না।
সিরামিক বা প্লাস্টিকের বাটিতে যে কোন খাবার রেখে প্রোগ্রামে পাওয়ার ও সময় সেট করে স্টার্ট বাটনে চাপ দিলেই হল। আমাদের দেশের রান্নার পদ্ধতি অনেকটা জটিল, সেইসাথে হরেক রকমের মসল্লা। তাই রান্নার চেয়ে তৈরি ঠান্ডা খাবার গরম করতে এই ওভেনের ব্যবহার হ্য় বেশী। ইদানিং ফাস্ট ফুডের দোকানেও মাইক্রোওভেনের জন্য বিশেষভাবে প্যাকেট করা খাবার পাওয়া যায়।
| 


