১ নং
২ নং
৩ নং
পৃথিবীর সব চেয়ে সফল জীবঃ "ব্যাকটেরিয়া"
ব্যাকটেরিয়া হলো এক প্রকারের এককোষী অণুজীব। এরা হল প্রোক্যারিয়ট (প্রাক-কেন্দ্রিক) অর্থাৎ এদের কোষে সংগঠিত নিউক্লিয়াস নেই, আছে ঝিল্লিহীন নিউক্লিয়য়েড,যার মধ্যে রৈখিক ক্রোমোজোম নেই আছে বৃত্তাকার ডি.এন.এ, ঝিল্লি (মেমব্রেন) ওয়ালা কোন অঙ্গাণু নেই এবং নেই কোন সাইটোকঙ্কাল। মানুষের দেহে কয়েক ট্রিলিয়ন কোষ আছে, তবে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা এর থেকে ১০-১০০ গুণ বেশি। যদিও মানুষের চোখে অদৃশ্য কিন্তু ব্যাকটেরিয়াই এই পৃথিবীর সব চেয়ে সফল জীব।গভীর সমুদ্রের তলদেশে,আগ্নেয় গিরীর জ্বালা মুখ,অস্থ মন্ডলের গভীর থেকে উপরের আকাশে বহু দূর ব্যাপী তাদের অবস্থান।তারাই প্রথম শিখেছে সূর্যের আলোর শক্তিকে বন্দি করে খাদ্য প্রস্তুত করতে।তারাই প্রথম পানি ভেঙ্গে মুক্ত করেছে অক্সিজেন।আবার এই অক্সিজেন কে কাজে লাগিয়ে খাদ্য থেকে শক্তি সঞ্চয় করেছে ব্যাকটেরিয়াই প্রথম।অথচ এদের সম্পর্কে না জেনে মানুষ নিজেকে সৃষ্টির সেরা জীব দাবি করে বসে আছে।কিন্তু আজ ও প্রতিদিন বহু মানুষ জীবন দেয় অতি ক্ষুদ্র কিন্তু অসামান্য সফল এই ব্যাকটেরিয়ার হাতে।
অ্যান্থনি ভন লিউয়েনহুক (Antonie van Leeuwenhoek)একজন ওলন্দাজ বিজ্ঞানী। তিনিই প্রথম অণুবীক্ষণযন্ত্র তৈরি করেন এবং ব্যাকটেরিয়া,স্নায়ুকোষ,হাইড্রা,ভলভক্স ইত্যাদির অত্যন্ত সঠিক বর্ননা দেন।
১৬৭৬ সালে (Antonie van Leeuwenhoek)অ্যান্থনি ভন লিউয়েনহুক নিজের হাতে বানানো মাইক্রোস্কোপে প্রথম বারের মত ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান।এরপর এই ব্যাকটেরিয়া দিয়েই লুই পাস্তুর রবাট কচ প্রভৃতি বিজ্ঞানী বিভিন্ন রোগ ও খাদ্য দ্রব্য এর পচনের সাথে ব্যাকটেরিয়ার সম্পর্ক আবিস্কার করেন।আমাদের বেশির ভাগ রোগের কারনই ব্যাকটেরিয়া।তা সত্ত্বেও এই রোগ সৃষ্টি কারী ব্যাকটেরিয়ারা ব্যাকটেরিয়া জাতের এক ক্ষুদ্র অংশ।আবার বেশির ভাগ ব্যাকটেরিয়াই আমাদের জন্য উপকারী।