ব্রিটেনের বরেণ্য বালিকা: জেসিকার সাক্ষাৎকার

|

প্রতিবছর ব্রিটেনে নির্বাচন করা হয় বর্ষসেরা তরুণ ইঞ্জিনিয়ার। এ বছর যুগ্মভাবে সেই পুরস্কার পেয়েছেন জেসিকা জোনস ও ওয়াসিম মিয়া। জেসিকা জোনসের জন্ম যুক্তরাজ্যের কার্ডিফে। এখন বয়স তার ১৭ বছর। জেসিকা তার সাফল্যের গল্প ও স্বপ্নগাথা অনলাইন সাক্ষাত্কারে শুনিয়েছেন জাহাঙ্গীর সুরকে।
জেসিকা জোনস: ব্রিটেনের প্রথম নারী তরুণ ইঞ্জিনিয়ার
অভিনন্দন জেসিকা। দিলেন তো বাজি মাত করে! আপনার তরুণ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার গল্পটা শুনতে চাই আমরা।
জেসিকা :
আমাদের নিয়ে আগ্রহ দেখানোর জন্য ধন্যবাদ। আর উত্তর দিতে দেরি করার জন্য সত্যিই দুঃখিত। আসলে গেল ক'টা দিন বেশ ব্যস্তই ছিলাম।

বর্ষসেরা তরুণ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কেমন লাগছে নিজেকে?
জেসিকা :
ইউকে ইয়াং ইঞ্জিনিয়ার অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হতে পারায় আমি খুবই আনন্দিত। আরেকটা কারণে আমি খুব বেশি উচ্ছ্বসিত। তা হল, আমিই প্রথম নারী, যে তরুণ ইঞ্জিনিয়ার নির্বাচিত হয়েছে!

এই অর্জন আপনার আগামী শিক্ষাজীবনে কেমন প্রভাব ফেলবে?
জেসিকা :
আমার বিশ্বাস, এতে করে আরও অনেক মেয়েকে আমি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আগ্রহী করে তুলতে পারব।


এবারের বর্ষসেরা তরুণ ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসিম, জেসিকা (মাঝে) ও কীর্তণা

ওয়াসিমের সঙ্গে যুগ্মভাবে আপনি ব্রিটেনের বর্ষসেরা তরুণ ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন। ওর বয়স এখন ১৭, আপনার?
জেসিকা :
আমারও বয়স ১৭। ওয়াসিমের মতো আমার জন্মও কিন্তু কার্ডিফে!

আপনার এই অর্জনের জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান কার?
জেসিকা :
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আমার যত আগ্রহ তার সবটাই বাবার অবদান। বাবা একটা কলেজে শিক্ষকতা করছেন। বাবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

মর্নিং শোজ দ্য ডে... এ কথা কি আপনার বেলাতেও খাটে?
জেসিকা :
ছোট থেকেই আমি খুব কৌতূহলী, কী করে সব জিনিস কাজ করে তা জানার জন্য। বিশ্বাস করুন, মাত্র তিন বছর বয়সে আমি ওহমের সূত্র শিখেছি (বাংলাদেশে ওহমের সূত্র পড়ানো হয় নবম শ্রেণীতে)! শুধু তাই নয়, এসি-ডিসি বিদ্যুত্ সম্পর্কে শিখেছি মাত্র চার বছর বয়সে! আত্মীয়স্বজনরা তো প্রায়ই প্রশ্ন তোলে, আমার বাবা আমাকে অতটুকু বয়সেই এতকিছু শিখিয়েছে বলে। তবে এটার মূল্য কিন্তু ঠিকই পেয়েছি।

এখন পড়াশোনা কী নিয়ে?
জেসিকা :
আমি একসঙ্গে দুটো কলেজে পড়ছি। একটা কলেজে 'এ' লেভেলে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন আর গণিত নিয়ে পড়ছি। আরেকটা কলেজে ট্রিপল-ই (ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং) নিয়ে ডিপ্লোমা করছি।

প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার বাইরে আর কী কী করতে ভালোবাসেন?
জেসিকা :
কলেজের বাইরে প্রতি সপ্তাহে আমি কারাতে ক্লাস করি। এ ছাড়া নিজে নিজে আরেকটা প্রজেক্ট নিয়ে এগুচ্ছি। আশা করছি, আগামীতে ওটাতে পেটেন্ট নেব।

আপনার স্বপ্ন কী, জানতে পারি?
জেসিকা :
আমার স্বপ্ন, কার্ডিফ ইউনিভার্সিটিতে পড়ব। বিষয় হিসেবে আমার পছন্দ জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান। আর তা না হলে ট্রিপল-ই। আমি মূলত এমন একটা ক্যারিয়ারের স্বপ্ন দেখি যাতে কি না তত্ত্বীয় জ্যোর্তিবিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জ্ঞানের মিশেল দরকার হবে।

জেসিকা, স্বপ্ন শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। কথা হবে আরও।
জেসিকা :
নিশ্চয়ই, আপনাকেও ধন্যবাদ।


ওয়েলসের এই চ্যাম্পিয়ন ট্রফিই তার ব্রিটেন সেরা হওয়ার প্রেরণা


Blogger templates

.
Recommended Post Slide Out For Blogger