1) নিজের চেষ্টায় যারা কোটিপতি

|
তারা হতে পারেন বয়সে যুবক। নানাভাবে বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় আলোচিত। তারা নিজের চেষ্টায় বানিয়েছেন কোটি কোটি ডলার। এক সময় ছুটতেন অর্থের পেছনে। কিন্তু এখন অর্থ ছুটে তাদের পেছনে। নিজের চেষ্টায় এমন কোটিপতি হয়ে ওঠা ৭ যুবকের কথা এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।





ইয়ুসাকু মায়েজাওয়া
তিনি একসময় সিডি বিক্রি করে বেড়াতেন। সাবেক এক রক সংগীতশিল্পী। ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে তিনি অনলাইনে টি-শার্ট বিক্রি শুরু করেন। তখন ই-কমার্সে অধিক সফল প্রতিষ্ঠান জোজোটাউন (Zozotown) এর পাশাপাশি তিনি শুরু করেন একটি কোম্পানি। এর নাম দেন স্টার্ট টুডে। এই কোম্পানিটি স্থাপিত হয় ২০০৫ সালে। এর পরে প্রতি বছরে এর পরিধি দ্বিগুণ আকারে বাড়তে থাকে। এখন জোজোটাউনের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৩০ লাখের ওপরে। মায়েজাওয়ার বয়স এখন ৩৫। এরই মধ্যে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও তার অর্থের পরিমাণ ফুলেফেঁপে উঠছে।






মার্ক জুকারবার্গ
তার বয়স মাত্র ২৬ বছর। এই বয়সেই তিনি ই-দুনিয়ায় গড়ে তুলেছেন এক সাম্রাজ্য। তিনি হার্ভার্ডের ছাত্র। এক সময় তিনি বানিয়ে ফেলেছিলেন ক্ষুদ্র পরিসরে একটি ওয়েবসাইট। তার নাম দিয়েছিলেন ফেসবুক। এ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। তবে এর সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটটি নির্মাণের পিছনে জুকারবার্গের যে কঠোর শ্রম ও মস্তিষ্কের শক্তি প্রয়োজন হয়েছিল তা ততক্ষণে অনেকেই জানেন না। ধীরে ধীরে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তার ফেসবুক এখন সারা বিশ্বের ছোট্ট শিশু পর্যন্ত ব্যবহার করে। তিনি এরই মধ্যে ১৩৮০ কোটি ডলারের মালিক হয়ে গেছেন। এই বিশাল আয় থেকে তিনি মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় দান করেন। সমপ্রতি তিনি ঘোষণা দিয়েছেন তার জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর আগে অর্জিত সম্পদের অর্ধেক বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় দান করে যাবেন।








ইয়োশিকাজু তানাকা
তার বয়স মাত্র ৩৪। তিনি মার্ক জুকারবার্গকে দেখে সামাজিক ওয়েবসাইট গড়েছেন। এর নাম গ্রি (Gree)। এরই মধ্যে এই ওয়েবসাইটটি জাপান মাত করে দিয়েছে। আর এর ফলে ৩৪ বছর বয়সী তানাকার অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২০ কোটি ডলার। তিনি এখানেই থামতে চান না। তিনি সাইটটির বিস্তার ঘটিয়ে দিতে চান সারাবিশ্বে। এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন গ্রি’র একটি নতুন অফিস খুলবেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়। এখানে উল্লেখ্য, গ্রি এক ধরনের খেলার প্রকাশ থেকে এসেছে।






ডাস্টিন মোস্কোভিট্‌জ
তিনি ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের চেয়ে মাত্র ৮ দিনের ছোট। তারও বয়স ২৬ বছর। তিনি জুকারবার্গের হার্ভার্ডের রুমমেট ছিলেন। ফেসবুকের তিন নম্বর চাকরিজীবী ছিলেন তিনি। ফেসবুকের প্রথম চিফ টেকনোলজি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এরই মধ্যে তিনি ২৭০ কোটি ডলারের মালিক হয়ে গেছেন। ২০০৮ সালে তিনি ফেসবুক ছাড়েন। এরপর নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। এর নাম দেয়া হয়েছে আসানা (Asana)।








ওলেগ বাখমাতইয়ুক
তার বয়স ৩৫ বছর। তিনি ইউক্রেনে সবচেয়ে বেশি মুরগির ডিম উৎপাদন করেন এবং তা রপ্তানি করেন। তিনি আভাঙ্গার্ড-এর বেশির ভাগের মালিক। এর আগে তিনি দেশের গ্যাস ও তেল ইন্ডাস্ট্রিজে কাজ করতেন। সেখান থেকে তিনি নিজেই ফিরে গিয়ে ডিম উৎপাদনে লেগে যান। এক পর্যায়ে তিনি ভাবলেন, এই ডিম বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে দিতে হবে। সেখান থেকেই তার ভাগ্য খুলে যায়।








সার্গেই ব্রিন
৩৮ বছর বয়সী এই তরুণের নাম আমরা অনেকে না-ও জানতে পারি। কিন্তু তার বানানো ওয়েবসাইট আজ আমরা ব্যবহার করছি। তিনি রাশিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট এবং ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। বলা হয়, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ইন্টারনেট কোম্পানি। এ বছরের হিসাব অনুযায়ী তার ব্যক্তিগত অর্থের পরিমাণ ১৯৮০ কোটি ডলার।








সিয়াওফেং পেং
তিনি ৩৬ বছর বয়সী যুবক। সূর্যরশ্মিকে ব্যবহার করে অর্থের খনি বানিয়েছেন। তিনি এলডিকে সোলার কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী অফিসার। ২০০৫ সালের জুলাইয়ে তিনি এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। তা বিকশিত হয় ২০০৭ সালে। এখনও এই কোম্পানির অর্থের পরিমাণ ১৮০ কোটি ডলার। তার মধ্যে পেং-এর নিজের অর্থের পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার।

Blogger templates

.
Recommended Post Slide Out For Blogger